হুগলি: পাসপোর্ট জালিয়াতি কাণ্ডে (Fake Passport Case) পুলিশের জালে চন্দননগর তিন অভিযুক্ত। গ্রেফতার একজন ট্রাফিক হোমগার্ড। মহঃ ইমরান,মোহন সাউ ও বিশ্বজিৎ ঘোষকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এদের মধ্যে ইমরান চন্দননগর পুলিশ কমিশনারেটের অস্থায়ী হোমগার্ড। ইমপানের বাড়ি চাঁপদানী। মোহন সাউের বাড়ি বৈদ্যবাটি। এবং বিশ্বজিৎ এর বাড়ি তারকেশ্বরে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃতরা মোটা টাকার বিনিময়ে ভুয়ো নথিকে আসল নথি বলে যাচাই করার ব্যবস্থা করে দিত।
চন্দননগর পুলিশ সূত্রের খবর, ধৃতরা টাকার বিনিময় নকল নথি জমা দিয়ে পাসপোর্ট তৈরি করে দিত। একই আধার নম্বর দিয়ে বার বার পাসপোর্টের জন্য আবেদন করা হয়। সন্দেহ হওয়ায় ভদ্রেশ্বর থানার পুলিশ তদন্তে নামে। তিনজনকে গ্রেফতার করে। বৃহস্পতিবার ধৃত তিনজনকে চন্দননগর আদালতে পেশ করা হয়। তাদের পুলিশ হেফাজত নেওয়া হয়। এই চক্রে আরও অনেকে জড়িত থাকতে পারে বলে সন্দেহ পুলিশের।
গত বছর ২৩ নভেম্বর সুয়োমটো কেস করে ভদ্রেশ্বর থানার পুলিশ। দক্ষিণ 24 পরগনার নামখানার মৌসুনি দ্বীপ থেকে মোহন সাউকে গ্রেফতার করা হয়। তারকেশ্বর থেকে বিশ্বজিৎ ঘোষ এবং চাঁপদানী মহঃ ইমরানকে গ্রেফতার করে। অভিযুক্তদের চন্দননগর মহকুমা আদালতে তুললে বিচারক ১০ দিনের পুলিশে হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: ফের তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দলে উত্তপ্ত ভাঙড়
কলকাতা ও সংলগ্ন এলাকার বিভিন্ন থানায় অস্থায়ী কর্মীদের কার্যকলাপ খতিয়ে দেখছে পুলিশ। তদন্তকারীরা জানাচ্ছেন, বহু থানাতেই পাসপোর্টের জন্য নথি পরীক্ষা করার কাজ SI বা ASIরা করতেন না। তার বদলে সেই কাজ করতেন অস্থায়ী কর্মীরা। স্থায়ী পুলিশকর্মীরা সই করে দিতেন মাত্র। সেই সুযোগে ভুয়ো নথি দেখিয়ে বহু পাসপোর্ট তৈরি হয়ে গিয়েছে।
অন্য খবর দেখুন