কেরালা: ফের র্যাগিংয়ের (Ragging) ঘটনা। জুনিয়রদের উপর ‘বিকৃত যৌনাচার’ চালিয়ে পৈশাসিক উল্লাসে মাতল কেরলের মেডিক্যাল কলেজর সিনিয়ররা। (Kerala Medical College) । যা অভিযোগ সামনে এসেছে তা ভয়াবহ। কখনও যৌনাঙ্গে ডাম্বেল ঝুলিয়ে রাখা হত, আবার কখনও ঘণ্টার পর ঘণ্টা উলঙ্গ করে দাঁড় করিয়ে রাখা হত। শুধু অত্যাচার চালিয়ে ক্ষান্ত থাকত না সিনিয়র দাদারা সেই সমস্ত কাণ্ডকারখানার করা হত ভিডিয়ো।
২০২৪ সাল থেকে এই ধরনের কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন সিনিয়র মেডিক্যাল পড়ুয়ারা। ভাবলে শিউরে উঠতে হয়। এই ভাবেই মাসের পর মাস ধরে জুনিয়রদের র্যাগিং করে আসছিলেন কেরলের মেডিক্যাল কলেজের তৃতীয় বর্ষের পাঁচ পড়ুয়া।
আরও পড়ুন: হ্যাটট্রিকের পথে রাজ্য সরকার, সরকারি কর্মচারীদের ডিএ বাড়ল ৪ শতাংশ
কেরলের (Kerala) কোট্টায়মের এক সরকারি মেডিক্যাল কলেজে ঘটনাটি ঘটেছে। সম্প্রতি কলেজের প্রথম বর্ষের তিন পড়ুয়া পুলিশের দ্বারস্থ হন। তাদের অভিযোগ, গত কয়েকমাস ধরেই তারা এই নির্যাতনের শিকার।
ওই কলেজের তৃতীয় বর্ষের পাঁচ পড়ুয়া তাদের উপর অত্যাচার চালিয়ে আসছিল। পুলিশ তাদের গ্রেফতার করেছে। ধৃত পাঁচ জনই তৃতীয় বর্ষের নার্সিং পড়ুয়া (Third year nursing student)। সকলেই তিরুঅনন্তপুরমের (Thiruananthapuram) বাসিন্দা। ২০২৪ সালের নভেম্বর মাস থেকে শুরু হয়েছিল অত্যাচার।
নির্যাতিতদের অভিযোগ, প্রথম বর্ষের পড়ুয়াদের এক লাইনে দাঁড় করিয়ে উলঙ্গ করে রাখা হত। দীর্ঘক্ষণ এইভাবেই দাঁড় করিয়ে রাখা হত। তার যৌনাঙ্গে ঝুলিয়ে দেওয়া হত ডাম্বল। আবার কখনও জ্যামিতি বাক্সের কম্পাসের আঘাতে ক্ষতবিক্ষত করা হত দেহ। সেই ক্ষতে মলমের প্রলেপ লাগিয়ে দেওয়া হত।
যন্ত্রণা চিকিৎকার করলে মুখে ভিতরও সেই মলম ঢেলে দেওয়া হত। টাকা পয়সা কেড়ে নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। জুনিয়রদের কাছ থেকে টাকা পয়সা হাতিয়ে নিয়ে প্রতি রবিবার করে হস্টেলের মধ্যেই দেদার মদের আসর বসাত সিনিয়ররা। কোনও কথা বাইরে ফাঁস না করার জন্য জুনিয়রদের রীতিমতো হুমকি দেওয়া হত।
দেখুন অন্য খবর: