Wednesday, December 3, 2025
HomeBig newsসরকারি অর্থে বাবরি মসজিদ নির্মাণ করতে চেয়েছিলেন নেহরু’ বিস্ফোরক মন্তব্য রাজনাথের
Rajnath Singh

সরকারি অর্থে বাবরি মসজিদ নির্মাণ করতে চেয়েছিলেন নেহরু’ বিস্ফোরক মন্তব্য রাজনাথের

সর্দার প্যাটেল চাইলে তিনি প্রধানমন্ত্রী হতে পারতেন, কোনও পদের লোভ ছিল না তাঁর

ওয়েবডেস্ক-  সরকারি টাকায় (Government Fund) বাবরি মসজিদ (Babri Masjid) নির্মাণ করতে চেয়েছিলেন নেহরু (Jawaharlal Nehru) , এমনই বিস্ফোরক মন্তব্য ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের (Rajnath Singh)। এখানেই থেমে থাকেননি কেন্দ্রীয় মন্ত্রী, তাঁর দাবি সর্দার বল্লভ ভাই প্যাটেল (Sardar Vallabhbhai Patel) ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রীর সেই পরিকল্পনা সফল হতে দেননি। মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর এই বক্তব্যে রাজনৈতিক মহলে তীব্র চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। রাজনাথের আরও দাবি, নেহরু সাধারণ মানুষের থেকে প্যাটেলের স্মৃতিসৌধ নির্মাণের জন্য সংগ্রহ করা অর্থ কুয়ো ও সড়ক নির্মাণের জন্য ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছিলেন।

বল্লভ ভাই প্যাটেলের ১৫০তম জন্মজয়ন্তী উপলক্ষে গুজরাটের ভদোদয়ায় ঐক্য যাত্রা’য় উপস্থিত হয়েছিলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। সেখানে সাধলি গ্রামে এক জনসভায় উপস্থিত হয়ে এই মন্তব্য করেন তিনি। একই সঙ্গে রাজনাথ  সর্দার বল্লভভাই প্যাটেলকে একজন সত্যিকারের উদারপন্থী, ধর্মনিরপেক্ষ নেতা হিসেবে বর্ণনা করেন। রাজনাথ সিং বলেন, প্যাটেল তোষণের রাজনীতিতে বিশ্বাস করতেন না।

রাজনাথের মন্তব্য, নেহরু অযোধ্যায় সরকারি অর্থে বাবরি মসজিদ নির্মাণ করতে চেয়েছিলেন। এই প্রস্তাবের যদি কেউ বিরোধিতা করে থাকেন তিনি ছিলেন সর্দার বল্লভভাই প্যাটেল। তিনি ছিলেন একজন গুজরাটি মায়ের সন্তান। তিনি সরকারি টাকায় বাবরি মসজিদ নির্মাণ করতে বাধা দিয়েছিলেন’।

রাজনাথ বলেন, নেহরু যখন গুজরাটের সোমনাথ মন্দির পুনর্নির্মাণের প্রসঙ্গ তোলেন, তখন প্যাটেল স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছিলেন যে এখান বিষয়টি আলাদা। কারণ মন্দির সংস্কারের জন্য প্রয়োজনীয় ৩০ লক্ষ টাকা সাধারণ মানুষ দান করেছিলেন। একটি  ট্রাস্ট গঠন করা হয়েছিল এবং সোমনাথ মন্দিরের কাজে সরকারের এক টাকাও খরচ হয়নি। আর একইভাবে অযোধ্যায় রাম মন্দির নির্মাণেই সরকার এক টাকা দেয়নি। সেই তহবিল এসেছে দেশের সাধারণ মানুষের কাছ থেকে। এটিকে প্রকৃত ধর্ম নিরপেক্ষতা বলা যায়।

রাজনাথ বলেন, সর্দার প্যাটেল যদি চাইতেন তাহলে তিনি প্রধানমন্ত্রী হতে পারতেন, কিন্তু তিনি জীবনে কোনও পদ-পদবি নিয়ে লোভ করেননি। নেহরুর সঙ্গে মতাদর্শগতভাবে পার্থক্য ছিল, তার পরেও কাজ করে গেছেন। এই বিষয়ে তিনি মহাত্মা গান্ধীকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন।

তিনি দাবি করেন, ১৯৪৬ সালে কংগ্রেস সভাপতির পদে নেহরু নির্বাচিত হন শুধু এই কারণে যে গান্ধীর অনুরোধে প্যাটেল নিজের মনোনয়ন প্রত্যাহার করেছিলেন।  ‘১৯৪৬ সালে কংগ্রেস সভাপতির নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল। কংগ্রেস কমিটির অধিকাংশ সদস্যই বল্লভভাই প্যাটেলের নাম প্রস্তাব করেছিলেন। কিন্তু গান্ধীজি যখন প্যাটেলকে নেহরুকে সভাপতি হতে দেওয়ার অনুরোধ করেন এবং নিজের নাম প্রত্যাহার করতে বলেন, তিনি সঙ্গে সঙ্গে তা মেনে নেন।’

 

আরও পড়ুন-  প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের নতুন ঠিকানা ‘সেবা তীর্থ’

রাজনাথ সিং এর কথায়, নেহরু নিজের জন্য ভারতরত্ন নিয়েছেন, কিন্তু তখন সরদার বল্লভভাই প্যাটেলকে কেন সেই সম্মান দেওয়া হয়নি? কেন এই দ্বিচারিতা? প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ‘স্ট্যাচু অব ইউনিটি’ গড়ে সর্দার বল্লভভাই প্যাটেলকে তাঁর উপযুক্ত সম্মান দিয়েছেন। এটি প্রধানমন্ত্রীর একটি অসাধারণ কাজ।

ম্যারাথন আক্রমণ চালিয়ে রাজনাথ সিং বলেন, প্রধানমন্ত্রী হওয়ার জন্য সর্দার বল্লভভাই প্যাটেলের বয়স বেশি ছিল, এই ধরনের যুক্তি সম্পূর্ণ ভুল। তাঁর কথায়, মোরারজি দেশাই ৮০ বছরের বেশি বয়সে প্রধানমন্ত্রী হতে পারেন, তাহলে ৮০-এর নিচে থাকা সর্দার প্যাটেল কেন পারবেন না?

ভাদোদরার ওই সভা থেকে রাজনাথ নাম করে বলেন, আসলে কিছু রাজনৈতিক শক্তি প্যাটেলের উত্তরাধিকার মুছে ফেলতে চাইছিল। ইতিহাসের পাতায় প্যাটেলকে তাঁকে যোগ্য মর্যাদা দিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন, তিনি হলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।’ রাজনাথ সিংয়ের হুঙ্কার প্যাটেলের ঐতিহ্য আড়াল করার চেষ্টা করছিল ‘কিছু মানুষ’ কিন্তু বিজেপি ক্ষমতায় থাকা পর্যন্ত তারা এই কাজে সফল হবে না।

দেখুন আরও খবর-

Read More

Latest News