ওয়েব ডেস্ক: রাশিয়ার (Russia) সতর্কবার্তাকে উপেক্ষা করেছিল শেখ হাসিনার (Sheikh Hasina) সরকার? সম্প্রতি এই প্রশ্ন উঠেছে বাংলাদেশে (Bangladesh)। কারণ, ২০২৩ সালের ১৫ ডিসেম্বর রুশ বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভা (Maria Zakharova) এক বিবৃতিতে বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে একটি সতর্কবার্তা দিয়েছিলেন। অভিযোগ সেই সতর্কবাণী উপেক্ষা করেছিল শেখ হাসিনার সরকার। আসলে ২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারির দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সম্ভাব্য ভূমিকা নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেন রুশ মুখপাত্র। পাশাপাশি তিনি আগেই আরব বসন্তের মতো অস্থির পরিস্থিতি তৈরি হবে বলে আশঙ্কা করেন।
মারিয়া জাখারোভা তাঁর বিবৃতিতে দাবি করেন, বাংলাদেশের কয়েকটি জেলায় সরকার বিরোধী বিক্ষোভ এবং অশান্তির নেপথ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং পশ্চিমী কূটনৈতিক মিশনগুলির ভূমিকা ছিল। কিন্তু শেখ হাসিনা সরকার এইসব সতর্কবার্তাকে গুরুত্ব দেয়নি। বাংলাদেশের তৎকালীন বিদেশমন্ত্রী ডঃ এ কে আব্দুল মোমেন সাংবাদিকদের বলেছিলেন, “রাশিয়া কী বলেছে আমরা জানিনা, এটা আমাদের ইস্যু না।” এই বক্তব্য থেকে বোঝা যায়, রুশ সতর্কবার্তাকে হাসিনা সরকার সম্পূর্ণভাবে উপেক্ষা করেছিল।
আরও পড়ুন: হাসিনার বোনঝির পদত্যাগ ব্রিটেনের মন্ত্রিসভা থেকে, প্রধানমন্ত্রী বললেন, দরজা খোলা থাকবে
২০২৪ সালের আগস্টে ছাত্র আন্দোলনের মাধ্যমে শুরু হওয়া গণ-অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতন ঘটে। এর সূত্রপাত হয় কোটা সংস্কার আন্দোলনকে দমন করতে গিয়ে। হাসিনা সরকার আন্দোলনকারীদের বলপুর্বক দমন করতে গেলে জনরোষ বাড়তে শুরু করে। এক পর্যায়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। শেখ হাসিনাকে দেশ ছেড়ে ভারতে পালিয়ে আসতে হয়। এরপর তাঁর বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগে গ্রেফতারি পরোয়ানাও জারি করা হয়।
বিশ্লেষকরা মনে করেন, গ্লোবাল রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে রুশ সতর্কবার্তা আসলে আমেরিকার বিরোধিতার অংশ ছিল। বিশ্লেষকরা আবার মুজিবুর রহমানের সরকারের শেষ দিনগুলির সঙ্গে শেখ হাসিনার সরকারের পরিস্থিতির তুলনাও করেছেন। অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাস ও বিরোধীদের দাবিকে উপেক্ষা করার প্রবণতা দুই সরকারের পতনের অন্যতম কারণ বলে মনে করছেন তাঁরা।
দেখুন আরও খবর: