ক্যানিং: স্কুলে চলছে ভর্তির প্রক্রিয়া (School Admission)। সহপাঠীরা সবাই একে একে ভর্তি হয়ে গিয়েছে। এদিকে নাসিমার রিক্সাচালক বাবা তখনও তাঁর ভর্তির টাকা জোগাড় করতে পারেননি। মেয়ের কাছে একটা দিন সময় চেয়েছিলেন তিনি। তাতেই পাহাড়প্রমাণ অভিমান জমে কিশোরী মেয়ের মনে। সেই অভিমান থেকেই ফাঁকা ঘরে বিষ খেয়ে আত্মঘাতী হল নবম শ্রেণীর স্কুল ছাত্রী (School Student)। মর্মান্তিক এই ঘটনা ইতিমধ্যে শোকের ছায়া নেমে এসেছে গোটা এলাকায়।
দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার জীবনতলা থানা (Jibantala Police Station) এলাকার ঘটনা। জানা গিয়েছে, মৃত স্কুলছাত্রীর নাম নাসিমা মোল্লা। সে স্থানীয় সারেঙ্গাবাদ ইটখোলা হাই স্কুলে পড়াশোনা করত। এবছর নবম শ্রেণীতে পাশ করেছে সে। তাই শনিবার স্কুলে চলছিল দশম শ্রেণীতে ভর্তির প্রক্রিয়া। কিন্তু নাসিমার রিক্সাচালক বাবা তখনও তাঁর ভর্তির টাকা জোগাড় করতে পারেননি। মেয়ের কাছে তিনি একদিন সময় চেয়েছিলেন। কিন্ত সহপাঠীরা সকলেই এদিন ভর্তি হয়ে যাওয়ার কারণে মন খারাপ হয় নাসিমার। তখনই জীবনের চরমতম সিদ্ধান্তটি নেয় সে।
আরও পড়ুন: ফের গ্রেফতার ২ বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার দুপুরে যখন বাড়ির সকলে অন্য কাজে ব্যস্ত ছিল, তখন ফাঁকা বাড়িতে বিষ খায় নাসিমা। কিছুক্ষণ পর মেয়েকে অচৈতন্য অবস্থায় অবস্থায় উদ্ধার করে ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে (Canning Sub-Divisional Hospital) ভর্তি করেন তাঁর বাড়ির লোকজন। কিন্তু শনিবার রাতেই হাসপাতালে মৃত্যু হয় ওই ছাত্রীর। কিন্তু স্কুলে ভর্তির জন্য মাত্র ৫৫০ টাকা দরকার হয়। এত কম পরিমাণ টাকার জন্য আত্মঘাতী হতে হল নাসিমাকে? এই টাকা কি স্কুল কর্তৃপক্ষ মুকুব করে দিতে পারত না? মানবিকতার বিচারে এই প্রশ্নগুলি ভীষণ প্রাসঙ্গিক।
দেখুন আরও খবর: