পূর্ব বর্ধমান: নেপালে (Nepal) তীব্র ছাত্র-যুব বিক্ষোভের জেরে ইস্তফা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলি (KP Sharma Oli)। বিক্ষোভকারীরা তাঁর বাসভবন ও প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ঝালানাথ খানালের বাড়ি পুড়িয়ে দেয়। ঘটনায় নিহত হন খানালের স্ত্রী রাজ্যলক্ষ্মী চিত্রকর। এরপর সেনাবাহিনী দেশের শাসনভার হাতে তুলে নেয়। বর্তমানে দেশজুড়ে অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি বিরাজ করছে (District News)।
এই আবহে নেপালে আটকে পড়েছেন বহু ভারতীয় পর্যটক, যার মধ্যে রয়েছেন পূর্ব বর্ধমান, হুগলী ও জামশেদপুরেরও অনেকে। পূর্ব বর্ধমান জেলার জামালপুর, মন্তেশ্বর, মেমারী ও বর্ধমান শহর মিলিয়ে প্রায় ৩০ জন পর্যটক ৪ঠা সেপ্টেম্বর বর্ধমান থেকে রওনা দিয়ে বর্তমানে কাঠমান্ডুর কাছাকাছি পোখরার হোটেলে রয়েছেন।
আরও পড়ুন: দুর্গার সাজে পুরুষ! বৈষম্য কমাতে ব্যাতিক্রমী ভাবনা আসানসোলে
তাঁরা জানাচ্ছেন, সুস্থ ও নিরাপদ আছেন, তবে যান চলাচল স্বাভাবিক না হওয়ায় বাইরে বের হতে সমস্যায় পড়ছেন। পরিস্থিতি ঠিক হলে তাঁরা দেশে ফিরে আসবেন বলেই জানিয়েছেন। ইতিমধ্যেই স্থানীয় ব্লক প্রশাসন ও পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ আটকে পড়া পরিবারগুলির বাড়িতে গিয়ে তাঁদের আশ্বস্ত করেছেন।
আটকে পড়া পর্যটকদের পরিবারও প্রবল উৎকণ্ঠায় দিন কাটাচ্ছেন। খবরের কাগজ ও টেলিভিশনের পর্দায় নেপালের অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি দেখে তাঁদের উদ্বেগ আরও বাড়ছে। যদিও ফোনে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছেন পর্যটকরা। তাঁদের আশ্বাসে কিছুটা ভরসা মিললেও পরিবারের সদস্যরা প্রশাসনের পক্ষ থেকে দ্রুত উদ্যোগ নিয়ে নিরাপদে ফিরিয়ে আনার দাবি জানিয়েছেন।
দেখুন আরও খবর: