ওয়েবডেস্ক: বাংলাদেশের (Bangladesh) স্বাধীনতা যুদ্ধে (Liberation War) পাকিস্তানের সেনার হাতে হাজার হাজার মহিলাকে নির্যাতনের (Tortured) শিকার হতে হয়েছে। স্বাধীন বাংলাদেশে মহম্মদ ইউনুসের (Muhammad Yunus) জমানা যেন সেই সময়কে মনে করাচ্ছে। দিনের পর দিন বেড়ে চলেছে মহিলাদের প্রতি অত্যাচার। যার জেরে রাস্তায় নেমে এসেছেন ক্ষুব্ধ বাসিন্দারা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রীদের বিক্ষোভ চলছে। তারই মধ্যে একটি চাঞ্চল্যকর রিপোর্ট সামনে এল। শুধুমাত্র এই বছরেই এখনও পর্যন্ত প্রথম দুই মাসে ২৯৮ জন মহিলা যৌন নির্যাতনের শিকার। তার মধ্যে ৯৮ জন মহিলা ও ৪৪ জন শিশুকে ধর্ষণ করা হয়েছে। হিজাব না পড়ার জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিতরে ছাত্রীকে হেনস্তা করা হয়েছে।
এই বিক্ষোভের মধ্য ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিসের কমিশনার শেখ মহম্মদ সাজ্জাদ আলি সংবাদমাধ্যমকে পরামর্শ দিয়েছেন, ধর্ষণ শব্দ না লিখতে। বরং তার বদলে অন্য কিছু ব্যবহার করা হোক। ইতিমধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও অন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে নারী নির্যাতন নিয়ে বিক্ষোভের সংখ্যা বাড়ছে। ঢাকা ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিতরে টর্চ নিয়ে মিছিল হয়েছে। শাহবাগ ময়দানেও বিক্ষোভ হয়েছে। এই প্রতিবাদ কর্মসূচির মূল উদ্যোক্তারাই শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আন্দোলনে নেমেছিলেন। বৈষম্য বিরোধী যে আন্দোলনের জেরে হাসিনা সরকারের পতন হয়। হাসিনা বিরোধী আন্দোলনে স্লোগান উঠেছিল, তুমি কে? আমি কে? এবারও স্লোগান উঠছে, তুমি কে আমি কে? উত্তরে সবার মুখে আট বছরের বালিকার নাম। ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধে পাকিস্তানের সেনা ও তাদের সহযোগীরা বাঙালি মহিলাদের প্রাতিষ্ঠানিক ভাবে ধর্ষণ করেছিল। অনেকেই বলেছেন ইউনুসের জমানা যেন সেই দিনকে মনে করাচ্ছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার বার্তা, লন্ডন থেকে কী বললেন খালেদা জিয়া?
দেখুন অন্য খবর: