নদিয়া: শান্তিপুর (Santipur) মানেই বাংলার হস্তচালিত তাঁতের শাড়ি। এ বছর পুজোর মরশুমে বিশেষ নজর কেড়েছে হ্যান্ডলুম শাড়ি (Handloom Saree)। তবে এই শাড়ি যেমন তেমন শাড়ি নয়। শাড়ির আঁচলে কখনও কবিগুরু রবীন্দ্রনাথের প্রতিকৃতি আবার কখনও গোটা শাড়ি জুড়ে এক টুকরো শান্তি নিকেতন। কোনও শাড়িতে ফুটে উঠেছে কবিগুরুর লেখা কবিতার লাইন। আবার কোনও শাড়িতে শিশুদের সহজ পাঠ ফুটে উঠেছে। নজর কেড়েছে বাংলা স্বরবর্ণ-ব্যঞ্জনবর্ণ লেখা শাড়িও।
শান্তিপুর বাগদেবীপুর এলাকার তাঁত শিল্পী বাসুদেব প্রামাণিক চলতি বছর দুর্গা পুজোয় এই বাংলা হরফের শাড়ি বিক্রি করে শান্তিপুর হাটে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন। মাত্র ২০০-২৫০ টাকা করে পাইকারি দরে হাটে শাড়ি বিক্রি করছেন বাসুদেব বাবু।
আরও পড়ুন: আজ দিনভর সঙ্গী ঝড়বৃষ্টি, কোন কোন জেলায়?
এ বিষয়ে বাসুদেববাবু জানিয়েছেন, এগুলি সুতির হ্যান্ডলুমের শাড়ি। এই শাড়িগুলি অত্যন্ত ভাল কোয়ালিটির ও খুব নরম। যা গরমে পরে খুব আরাম পাওয়া যায়। তাই এই শাড়ি এবার দুর্গা পুজোয় দেদার-বিকচ্ছে শান্তিপুর ঘোষ মার্কেট তাঁত কাপড়ের হাটে। প্রতিদিন ১৫০ থেকে ২০০টি করে এই শাড়ি বিক্রি করছেন বাসুদেববাবু। প্রতিমাসে প্রায় হাজার পিস শাড়ির চাহিদা রয়েছে বাজারে। তাই বর্তমানে জোগান দিয়ে উঠতেও হিমশিম খেতে হচ্ছে তাঁকে।
বাংলা হরফের শাড়ি বর্তমানে দুর্গাপুজোর রোল মডেল হয়েছে নদিয়ার শান্তিপুরের তাঁত কাপড়ের হাটে। এ বিষয়ে বাসুদেব বাবু জানান, তিনি তাঁর বাড়িতে প্রিন্টিং মেশিন করেছেন। প্রতিবারই নতুনত্ব কিছু প্রিন্ট শাড়িতে ফুটিয়ে তোলেন। এবারে রবীন্দ্রনাথ, সহজপাঠ, অ-আ-ক-খ বা রবি ঠাকুরের কবিতা বা গানের লাইন সমস্তটাই ফুটিয়ে তুলেছেন শাড়িতে। আগামী দিনেও আরও নতুনত্ব ডিজাইন মার্কেটে তিনি নিয়ে আসবেন। শাড়ি হাটে আনার পর থেকেই বিক্রির চাহিদা বেড়েছে। যদিও হার্ট কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এবারে বাংলা হরফে লেখা শাড়ির চাহিদা শান্তিপুরের সবথেকে বেশি। যার ফলে শান্তিপুরের গৌরব আরও বৃদ্ধি পাচ্ছে।
দেখুন অন্য খবর