ওয়েব ডেস্ক: সরকার দুর্নীতি রুখতে ব্যর্থ, উল্টে সাধারণ মানুষের মুখ বন্ধ করতে সমাজমাধ্যমের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে নেপাল সরকার। এই অভিযোগে নেপালের রাস্তায় নামলেন হাজার হাজার তরিণ-তরুণী। কিন্তু সেই প্রতিবাদ কিছুক্ষনেই ভয়াবহ সংঘর্ষের আকার নেয়। চলে গুলি, ছোড়া হয় কাঁদানে গ্যাস। এই উত্তপ্ত পরিস্থিতি চলে দিত্বীয় দিনেও। জনরোষের মুখে পরে অবশেষে পদত্যাগ করেন সে দেশের প্রধানমন্ত্রী। মঙ্গলবরাই দেশ ছাড়তে পারেন প্রধানমন্ত্রী কেপি ওলি শর্মা। পদ থেকে ইস্তফা দেন আরও বেশ কিছু মন্ত্রীও। যদিও, সদ্য পদত্যাগী প্রধানমন্ত্রীর বাড়িতে ফের হামলা চালায় বিক্ষোভকারীরা। এই পরিস্থিতিতে এবার ভারত-নেপাল সীমান্তে বাড়ছে কড়াকড়ি। ভারতের বিহার, উত্তরপ্রদেশ, উত্তরাখণ্ড, সিকিম, পশ্চিমবঙ্গ নেপালের সীমান্তবর্তী রাজ্য। নজরদারি বাড়ানো শুরু হয়েছে সেখানে। ভারত-নেপাল সীমান্তে বাংলার পানিট্যাঙ্কিতে কড়া নজরদারি শুরু করেছে এসএসবি। বন্ধ করা হয়েছে শিলিগুড়ি-কাঠমান্ডু বাস সার্ভিস। বন্ধ নেপালে মালবাহী ট্রাক যাতায়াতও।
ছাত্র-যুবদের বিক্ষোভে অশান্ত নেপাল। এই পরিস্থিতিতে ইতিমধ্যেই শিলিগুড়ি-কাঠমান্ডু বাস সার্ভিস বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। মালবাহী ট্রাক যাতায়াতেও নিষেধাজ্ঞা জারি। তবে ছোট গাড়ি যাতায়াত করতে দেওয়া হচ্ছে। সীমান্ত পারের আগে চলছে নাকাচেকিং। এসএসবি সূত্রে খবর, দিল্লি থেকে নির্দেশ আসার পরেই বাড়ানো হয়েছে তৎপরতা। কোনও ভাবেই যাতে পড়শি দেশের অশান্তির আঁচ ভারতে না পড়ে, সেটাই নিশ্চিত করা এখন সীমান্তরক্ষীদের প্রধান দায়িত্ব।
আরও পড়ুন: নেপালের পরিস্থিতি নিয়ে কী বললেন মুখ্যমন্ত্রী?
মঙ্গলবার উত্তরবঙ্গে সফরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যাওয়ার আগে তিনি বলেন, সীমান্ত এলাকায় নজর থাকুক। কেউ যেন কেনও অশান্তিতে না জড়িয়ে পড়েন। তিনি বলেন, নেপাল বিদেশ, তা নিয়ে মন্তব্য করতে পারি না। যা বলার, ভারত সরকার বলেব। ভারত সরকার আমাদের কিছু বলতে বললে তখনই বলতে পারি। তবে নেপাল সীমান্তে উত্তরবঙ্গের যে অংশ, তা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী সতর্ক। সীমান্তে শান্তি বজায় রাখার বার্তা দিয়েছেন তিনি।
দেখুন খবর: