ওয়েবডেস্ক- নির্বাচন কমিশনারদের (Election Commission) নিয়োগ প্যানেল (Recruitment panel) থেকে প্রধান বিচারপতিকে (Chief Justice) বাদ দেওয়ার আইনকে চ্যালেঞ্জ করে করা আবেদনের শুনানি ১১ নভেম্বর সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court)। প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার আইন ২০২৩-কে চ্যালেঞ্জ করে মামলা। সুপ্রিম কোর্টে আবেদনের শুনানি ১১ নভেম্বর।
প্রধান বিচারপতিকে নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ প্যানেল থেকে বাদ দিয়েছিল। আজ বিচারপতি সূর্য কান্ত এবং জয়মাল্য বাগচীর বেঞ্চে মামলাটি সময়ের অভাবে আজকের মত মুলতবি হয়ে যায়।
প্রসঙ্গত, প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার আইন, ২০২৩ এর সাংবিধানিক বৈধতাকে চ্যালেঞ্জ করে। ভারতের প্রধান বিচারপতিকে নির্বাচন কমিশনার (ইসি) নিয়োগকারী নির্বাচন প্যানেল থেকে অপসারণ করেছিল।
২০২৩ সালের ডিসেম্বরে সংসদে নির্বাচন কমিশনার আইন পাস হয়। ২০২৩ সালের মার্চ মাসে সুপ্রিম কোর্ট রায় দেয় যে আইন প্রণয়ন না হওয়া পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী, বিরোধীদলীয় নেতা এবং ভারতের প্রধান বিচারপতির সমন্বয়ে গঠিত একটি প্যানেল নির্বাচন কমিশনারদের নিয়োগ করবে। প্রভাবমুক্ত স্বাধীনভাবে নির্বাচন কমিশনারদের নিয়োগ নিশ্চিত করার জন্য আদালত এই নির্দেশ দিয়েছে।
আরও পড়ুন – সুপ্রিম কোর্টের বড় রায়! সাক্ষীর কাছ থেকেও নেওয়া যাবে কণ্ঠস্বরের নমুনা
আইন অনুসারে, নির্বাচন কমিশনারদের নির্বাচন প্রধানমন্ত্রী, একজন কেন্দ্রীয় মন্ত্রিপরিষদ মন্ত্রী এবং বিরোধীদলীয় নেতা অথবা লোকসভার বৃহত্তম বিরোধী দলের নেতার সমন্বয়ে গঠিত একটি কমিটি দ্বারা করা হয়।
নতুন আইনকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে কংগ্রেস নেত্রী জয়া ঠাকুর, অ্যাসোসিয়েশন ফর ডেমোক্রেটিক রিফর্মস এবং অন্যান্যরা সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন।
উল্লেখ্য, কেন্দ্রের নয়া আইন অনুযায়ী, দেশের প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্য নির্বাচন কমিশনারদের বাছাই করতে যে তিন সদস্যের প্যানেল আছে তার সদস্য থাকবেন প্রধানমন্ত্রী, লোকসভার বিরোধী দলনেতা এবং প্রধানমন্ত্রীর দ্বারা মনোনীত এক জন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। এই কমিটি যে নাম কিংবা নামগুলি প্রস্তাব করবে, তাঁকে বা তাঁদের নিয়োগ করবেন দেশের রাষ্ট্রপতি। তবে নয়া আইন প্রণয়নের আগে ২০২৩ সালের এক রায় শীর্ষ আদালত জানায়, দেশের প্রধান নির্বাচন কমিশনার, ও অপর দুই নির্বাচন কমিশনারকে তিন সদস্যের একটি বেছে নেবে। সেই কমিটিতে থাকবেন প্রধামন্ত্রী, দেশের প্রধান বিচারপতি, লোকসভার বিরোধী দলনেতা।
দেখুন আরও খবর-