ওয়েব ডেস্ক : প্রকৃতির রোষে নাজেহাল পরিস্থিতি পাকিস্তানে (Pakistan)। বৃষ্টি (Rain) ও হড়পা বানের (Flood) কারণে ডুবে গিয়েছে বহু এলাকা। জানা যাচ্ছে, এই দুর্যোগের কারণে গত ২৬ জুন থেকে এখনও পর্যন্ত ৮৫৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। ঘড়ছাড়া হয়ে পড়েছেন ২০ লক্ষের বেশি মানুষ। আহত হয়েছেন ১ হাজার ১০০ জন।
পাকিস্তানের তরফে জানানো হয়েছে, চলতি বছরে প্রবল বৃষ্টি হয়েছে পাকিস্তানে (Pakistan)। অন্যদিকে গত ৪০ বছর পর বায়াবহ বন্যা দেখা দিয়েছে এখানে। যার কারণে জলে ডুবে গিয়েছে একাধিক গ্রাম। নষ্ট হয়েছে বহু ফসল। এ নিয়ে পাঞ্জাবের সম্প্রচার মন্ত্রী আজাম বুখারি বলেছেন, ২০ লক্ষ মানুষ বন্যার কারণে প্রভাবিত হয়েছেন। বন্যাকবলিত এলাকা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে ৭ লক্ষের বেশি মানুষকে।
আরও খবর : ‘আমরা সবসময় কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে দাঁড়িয়েছি’ বার্তা মোদি ও পুতিনের
তবে এসবের মাঝে আবার নতুন করে লাহোর, হাফিজাবাদ এবং মুলতান জেলায় গত ২৪ ঘন্টায় ৬০ মিমি বৃষ্টিপাত হয়েছে। আরও বেশ কয়েকটি জায়গায় এর থেকে বেশি বৃষ্টি হয়েছে বলে খবর। সেই কারণে পাকিস্তানের একাধিক শাখা নদীর জল বিভিন্ন গ্রামে প্রবেশ করে ভাসিয়ে নিয়ে গিয়েছে। সূত্রের খবর, এই দুর্যোগের কারমে পাখতুনখোয়ায় মৃত্য়ু হয়েছে ৪০৬ জনের।
অন্যদিকে ভয়ংকর পরিস্থিতি পাঞ্জাব প্রদেশে। সেখানে বন্যার কারণে ১৭০০ গ্রাম ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে খবর। এমনকি জলের নিচে চলে গিয়েছে শিখদের পবিত্র তীর্থক্ষেত্র কর্তারপুরও। তবে পাকিস্তানে এই বন্যা পরিস্থিতির জন্য সম্প্রতি ভারতকে দায়ী করেছিলেন পাক মন্ত্রী আহসান ইকবাল। তিনি অভিযোগ করেছিলেন, পাকিস্তানের বিরুদ্ধে জল অস্ত্র ব্যবহার করেছে ভারত। সঙ্গে তিনি জানিয়েছিলেন, প্রতিবেশীর সহযোগিতায় এই প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলা সম্ভব। তবে সূত্রের খবর, প্রতিবারের মতো এবারেও জল ছাড়ার আগে পাকিস্তানকে আগাম বার্তা পাঠানো হয়েছিল।
দেখুন অন্য খবর :