ওয়েব ডেস্ক: বাংলাদেশের (Bangladesh) রাজনৈতিক টানাপোড়েনের আবহে আরও এক অকালমৃত্যু। প্রয়াত ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদি (Sharif Osman Hadi)। গত এক সপ্তাহ ধরে মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করছিলেন তিনি। কিন্তু শেষ রক্ষা হল না। বৃহস্পতিবার রাত পৌনে দশটা নাগাদ মৃত্যু হয় তাঁর। মূলত নতুন বছরেই বাংলাদেশে হতে চলেছে সাধারণ নির্বাচন। তার আগে এই ঘটনা সে দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতিকে আরও উত্তপ্ত করে তুলতে পারে বলে মনে করেছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকেরা।
হাদির মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করেছেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনুস (Muhammad Yunus)। সিঙ্গাপুর প্রশাসনের তরফে তাঁকে এই খবর জানানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। তবে এই মৃত্যুর দায় এড়াতে পারে না বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার। এমনটাই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
কারণ গত বছরে গন আন্দোলনের সময় মৌলবাদী শক্তির সক্রিয়তা নিয়ে অভিযোগ উঠছিল। তবে হাদির মৃত্যু সেই আশঙ্কাকেই আরও জোরালো করল বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশে চরমপন্থী শক্তির প্রভাব দেখা গিয়েছে। তবে তা রুখতে ব্যর্থ ইউনূস প্রশাসন। আর তার মূল্য দিতে হল হাদিকে।
আরও খবর : ভারত বিরোধী মন্তব্যে বড় পদক্ষেপ নয়াদিল্লির, বিরাট চাপে বাংলাদেশিরা
প্রসঙ্গত, ঢাকা-৮ আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার কথা ছিল শরিফ ওসমান হাদি’র। কিন্তু তার আগেই সম্প্রতি বিজয়নগরের বক্স কালভার্ট এলাকায় নামাজ সেরে রিকশায় বাড়ি ফেরার সময় তাঁর উপ চড়াও হয় দুষ্কৃতীরা। তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়েছিল। তাতে গুরুতর আহত হয়েছিলেন হাদি। এর পরেই তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। কিন্তু অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল সিঙ্গাপুরে। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। হাদির মৃত্যু ঘিরে এখন প্রশ্ন একটাই ঘোরাফেরা করছে। সেটি হল এই হত্যাকাণ্ডের প্রভাব কি আসন্ন নির্বাচনে পড়বে?
দেখুন অন্য খবর :







