ওয়েব ডেস্ক: সুপ্রিম কোর্টে ডিএ মামলায় বড় মোড়। বকেয়া মহার্ঘ ভাতা (ডিএ) মামলায় সুপ্রিম কোর্টে লিখিত বক্তব্য জমা দিল রাজ্য। তাঁদের যা যা বক্তব্য রয়েছে তা নিয়েই হলফনামা জমা দেওয়া হয়। বিচারপতি সঞ্জয় কারোলের বেঞ্চে জানালেন রাজ্যের আইনজীবী কপিল সিবাল। এরপর ৭ দিনের মধ্যে সরকারি কর্মচারী সংগঠনের পক্ষ থেকে লিখিত বক্তব্য জমা দেবে আদালতের কাছে। তারপরই হবে রায় ঘোষণা।
গত ৮ সেপ্টেম্বর সুপ্রিম কোর্টে ডিএ মামলার শুনানি শেষ হয়েছে। রায় ঘোষণা স্থগিত রেখেছে শীর্ষ আদালত। তবে কোনও পক্ষের কোনও বক্তব্য থাকলে, তা লিখিত আকারে জমা দিতে বলেছিল আদালত। সোমবার রাজ্য লিখিত বক্তব্য জানায়।
আরও পড়ুন: সুপ্রিম কোর্টে রাজ্যপাল, নির্বাচক কমিটি থেকে মুখ্যমন্ত্রীকে বাদ দেওয়ার আর্জি
বকেয়া মহার্ঘ ভাতা (DA Case) নিয়ে চলা দীর্ঘ মামলায় একধাপ এগোল সুপ্রিম কোর্টের প্রক্রিয়া (Supreme Court)। রাজ্যের আইনজীবী কপিল সিব্বল জানান, শুনানিতে আদালত জানতে চেয়েছিল কোন কোন রাজ্যে ভোক্তা মূল্য সূচক বা সিপিআই (কনজ্যুমার প্রাইস ইনডেক্স) মেনে ডিএ দেওয়া হয় না। লিখিত বক্তব্যে সেটিরও উল্লেখ রয়েছে। প্রায় ১০টি রাজ্যে ওই সূচক মেনে ডিএ দেওয়া হয় না বলে আদালতে লিখিত ভাবে জানিয়েছে রাজ্য।
রাজ্যের আইনজীবীর পাল্টা বক্তব্য জমা দিতে চান মামলাকারী সরকারি কর্মচারীদের একাংশের আইনজীবী করুণা নন্দী। বিচারপতি সঞ্জয় কারোল এবং বিচারপতি বিপুল মনুভাই পাঞ্চোলির বেঞ্চ জানায়, এর জন্য এক সপ্তাহ সময় আগেই দিয়েছিল আদালত। ওই সময়ের মধ্যে পাল্টা বক্তব্য জমা দিতে পারবেন মামলাকারী সরকারি কর্মচারীদের আইনজীবীরা।
কেন্দ্রীয় সরকারের কর্মীদের হারে রাজ্যকেও ডিএ দিতে হবে, এই দাবি সামনে রেখে শুরু হয় মামলা। রাজ্যের বক্তব্য—মহার্ঘ ভাতা বাধ্যতামূলক নয়, এটি মৌলিক অধিকার নয় কর্মীদের। উপরন্তু, কেন্দ্র ও রাজ্যের আর্থিক পরিকাঠামো এক নয়, তাই কেন্দ্রের সঙ্গে তুলনা চলে না। অন্য দিকে, কর্মচারীদের দাবি—ডিএ দেওয়া সরকারের নীতিগত দায়িত্ব। নির্দিষ্ট সময় অন্তর, বেতন কমিশনের সুপারিশ মেনে ডিএ দিতে হবে। প্রয়োজনে বকেয়া কিস্তিতে দিলেও চলবে। সুপ্রিম কোর্টে সেই মামলার শুনানি শেষ হয় গত ৮ সেপ্টেম্বর। রায়দান স্থগিত রাখে দুই বিচারপতির বেঞ্চ।
দেখুন খবর: