কলকাতা: টালিপাড়ার (Tollygunge Technician Studio) অশান্তি ঘটনায় তদন্ত করতে হবে রাজ্য সরকারকেই। নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court)। টালিপাড়ার অচলাবস্থা কাটাতে বৃহস্পতিবার হাইকোর্টে বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের এজলাসে মামলার শুনানি হয়। মামলার হাইকোর্টের নির্দেশ, রাজ্যের তথ্য সংস্কৃতি সচিবকে এই অভিযোগের তদন্ত করতে হবে। চার সপ্তাহের মধ্যে তদন্ত করে হাইকোর্টে রিপোর্ট দিতে হবে। নির্দেশ বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের।
ফেডারেশনের (Tollygunge Federation) সঙ্গে পরিচালক প্রযোজক এবং অভিনেতাদের দ্বন্দ্ব বেশ কিছুদিন ধরেই চলছে। গত বছরের জুলাইয়ে এই দ্বন্দ্ব অচলাবস্থার রূপ নেয়। বেশ কিছুদিন শুটিং বন্ধ থাকে। অভিনেতা পরিচালকদের একাংশের অভিযোগ, ফেডারেশন যা খুশি তাই এক তরফা ভাবে চাপিয়ে দিচ্ছে। কতজন নিয়ে শুটিং করতে হবে, কী ক্যামেরা ব্যবহার করতে হবে, কোথায় কতক্ষণ শুটিং করতে হবে, আউটডোরে কতজন নিয়ে যেতে হবে এই রকম যাবতীয় বিষয়ে তারা অযাচিতের মতো নাল গলায়। কথা না শুনলে পরিচালক প্রযোজকদের কাজ বয়কট করা হয়। ক্ষতি হয় শুটিংয়ের। আর এই কারণে বাইরের কোনও প্রযোজক বাংলা ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে বিনিয়োগও করছেন না। এই সব নিয়মের বিরুদ্ধেই পথে নেমে অথবা সাংবাদিক সম্মেলন করে প্রতিবাদ করেন পরমব্রতরা। অচলাবস্থা কাটাতে অভিনেতা সংসদ দেব, প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় এবং গৌতম ঘোষরা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দ্বারস্থ হন। রাজ্য সরকার এই তিনজনকে রেখে একটি কমিটিও গড়ে দেয়।
আরও পড়ুন: ৭ এপ্রিল চাকরিহারাদের সঙ্গে দেখা করবেন মুখ্যমন্ত্রী, জানালেন নিজেই
কথা ছিল তিন মাসের মধ্যে কমিটি এই সমস্যার সমাধানে একটি রিপোর্ট দেবে। কিন্তু অভিযোগ, সেই কাজও শেষ পর্যন্ত আর হয়নি। ফলে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেন ইন্ডিপেন্ডেন্ট ডিরেক্টর বিদুলা। ফেডারেশনের বিরুদ্ধে আদালতে যান আরও ১৪ জন পরিচালক অভিনেতা। এঁদের মধ্যে রয়েছেন অভিনেতা পরিচালক পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়, অনির্বাণ ভট্টাচার্য, ইন্দ্রনীল রায়চৌধুরী, সুদেষ্ণা রায়, সুব্রত সেনরা।
অন্য খবর দেখুন