ওয়েবডেস্ক- মহালয়া (Mahalaya) আগের দিন দুর্গাপুরে (Durgapur) তৃণমূল নেতার (Tmc Leader) রহস্যমৃত্যু ঘিরে চাঞ্চল্য। শনিবার বিকেলে স্থানীয় একটি বাগানবাড়ি থেকে ওই তৃণমূলে নেতার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। ৬৫ বছরের নেতার নাম নিখিল নায়েক (Nikhil Naik) । ঘটনা খবর ছড়াতেই প্রচুর তৃণমূল সমর্থক বাগান বাড়িতে হাজির হয়। ঘটনাস্থলে রয়েছে পুলিশ। তৃণমূল নেতার একাংশের দাবি, এটা কোনও আত্মহত্যার ঘটনা নয়। নেতাকে খুন করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে দুর্গাপুর থানার পুলিশ (Durgapur Thana)।
স্থানীয় সূত্রে খবর, এদিন দুপুরে নিজের বাগান বাড়িতে বেশ কয়েকজন বন্ধুর সঙ্গে খাওয়া দাওয়া করছিলেন নিখিল নায়েক। পরে আর বাড়ি ফিরে আসেননি। বাগানবাড়ি থেকে উদ্ধার হয় তৃণমূল নেতার দেহ। একতলা বাগান বাড়ির ছাদে ওঠার জন্য একটি সিড়ির ঘর আছে। সিঁড়ির নীচে ঝুলন্ত নিখিল বাবুর দেহ উদ্ধার হয়েছে। খবর যায় দুর্গাপুর থানায়।
এই দেখেই নিখিল নায়েকের অনুগামীদের দাবি তাঁকে খুন করা হয়েছে। দেহ উদ্ধার করতে গেলে বাধা দেয় দলীয় কর্মী ও অনুগামীরা। তাঁদের দাবি, আগে যথাযথ তদন্ত হবে। তার পরে দেহ নিয়ে যেতে পারবে পুলিশ। পরিস্থিতি ঘিরে উত্তেনা বাড়ে। ঘটনাস্থলে মোতায়েন করা হয়েছে কমব্যাট ফোর্স। সন্ধ্যা সাতটা নাগাদ সময় ঘটনাস্থলে আসেন মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার। তাঁর উপস্থিতিতে দেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
আরও পড়ুন- ইডি আদালতে কারামন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহার রায়দান স্থগিত
দুর্গাপুরের এসিপি সুবীর রায় বলেন, ‘পুলিশ নিখিল নায়েকের দেহ উদ্ধার করেছে। কীভাবে মৃত্যু হয়েছে, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এলে স্পষ্ট ধারণা পাওয়া যাবে। তদন্ত শুরু হয়েছে।
জানা গেছে, দুপুরেই এই বাগানবাড়িতেই খাওয়াদাওয়ার আসর বসিয়েছিলেন নিখিল নায়েক। সেই সময় কারা কারা এসেছিলেন তাদের খোঁজ চালানো হচ্ছে।
উল্লেখ্য, একটা সময় কংগ্রেস করতেন নিখিল নায়েক। পরে তৃণমূলে আসেন। কমলপুর গ্রামে থাকতেন তিনি। এলাকায় তাঁর যথেষ্ট প্রভাব ছিল।
দেখুন আরও খবর-