নয়াদিল্লি: ট্রাম্পের (Donald Trump) ঘোষণার জেরে মুখ থুবড়ে পড়ল ভারতীয় শেয়ার বাজার (Indian Share Market)। সোমবারের পর মঙ্গলবারেও একই অবস্থা বজায় থাকল। ইস্পাত ও অ্যালুমিনিয়ামে মার্কিন শুল্ক বৃদ্ধির (US tariff hikes) ধাক্কা পড়েছে শেয়ার বাজারে।
আজ মঙ্গলবারেও দুপুর ১টা ৪১ নাগাদ ১০৩৮ পয়েন্ট ধসে গিয়েছিল সেনসেক্স সূচক (Sensex Index) । তার পর সেই পতন আর থামেনি। সেনসেক্স পড়ল ১০১৫ পয়েন্ট বা ১.৩১ শতাংশ। নিফটির পতন (Nifty down) ৩১১ পয়েন্ট বা ১.৩৩ শতাংশ। মাথায় হাত বিনিয়োগকারীদের।
স্টিল ও অ্যালুমিনিয়ামের উপরে ২৫ শতাংশ আমদানি কর আরোপের ঘোষণা করেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প, আর তার পরেই ভারসাম্য হারাল শেয়ার বাজার। মিডক্যাপ ও স্মলক্যাপ সূচকে ৩.৫ শতাংশ ধস নেমেছে। অর্থনীতির সব ক্ষেত্রেই পতন, সব থেকে বড় ক্ষতি ধাতু ক্ষেত্রে। বিপুল পতন টাটা স্টিলের, এই কোম্পানির শেয়ার মূল্য খুইয়েছে ৩ শতাংশ।
আরও পড়ুন: মোদির মার্কিন সফরের আগেই বিরাট ঘোষণা ট্রাম্প প্রশাসনের
সোমবার বাজার বন্ধের সময় সেনসেক্স দাঁড়িয়ে ছিল ৭৭,৩১১.৮০ পয়েন্টে। এদিন সেনসেক্স খোলে ৭৭,৩৮৪.৯৮ পয়েন্টে। সেটি পৌঁছয় প্রায় ৭৭,৩৮৭.২৮ পয়েন্ট। কিছুক্ষণ পরেই সেনসেক্সের পতন শুরু হয়। এখনও পর্যন্ত এদিনের ডে লো ৭৬,০৩০.৫৯ পয়েন্ট। উল্লেখ্য সেনসেক্সের ৫২ সপ্তাহের সর্বনিম্ন স্তর ৭০,২৩৪.৪৩।
ভারতের বাজার থেকে বিদেশি পুঁজির বিদায় অব্যাহত, মঙ্গলবার বেরিয়ে গিয়েছে ২,৪৬৩ কোটি টাকা। সমগ্র উৎপাদন শিল্পে ক্ষয়ের শঙ্কা, কাজ হারাতে পারেন অনেক শ্রমজীবী। ব্যাঙ্কিং, অটো, মেটাল এবং তথ্যপ্রযুক্তির শেয়ারের দামে এদিন ভারী পতন হয়েছে। দাম পড়েছে জোমাটো, অ্যাপেলো হসপিটাল, হ্যাল, ইচার মোটরস প্রভৃতি শেয়ারের।
প্রধানমন্ত্রীর মার্কিন সফরের ঠিক আগে ট্রাম্পের এই ঘোষণায় সর্বত্র উদ্বেগ।
উল্লেখ্য, ট্রাম্প যে স্টিল ও অ্যালুমিনিয়ামের উপর কর আরোপ করেছেন, তা আগে ১০ শতাংশ ছিল এবং এই নতুন কর আরোপ হবে আগামী ৪ মার্চ থেকে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দুই শীর্ষ সরবরাহকারী দেশ কানাডা ও ব্রাজিল থেকে পণ্য আমদানিতে, ইস্পাত আমদানিতে এই কর প্রযোজ্য হবে বলেই জানিয়েছেন ট্রাম্প।
ফিনিশড ধাতব পণ্যের উপরেও এই কর আরোপ করার কথা বলেছেন ট্রাম্প যার ফলে সমস্যায় পড়বে রাশিয়া ও চিন। তবে অনেকেই বলছেন এই কর আরোপের ফলে দেশীয় উৎপাদন বাড়বে এবং কর্মসংস্থান বেশি হবে আমেরিকায়।
বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা, এফআইআই (ফরেন ইন্সটিটিউশনাল ইনভেস্ট) রা যদি এইভাবে বাজার থেকে টাকা তুলে নেওয়া চালাতে থাকেন তাহলে শেয়ার বাজারের অবস্থা আরও খারাপ হবে।
দেখুন অন্য খবর: