নয়াদিল্লি: শিয়রে কেন্দ্রীয় বাজেট (Union Budget 2025) । আগামী ১ ফেব্রুয়ারি (1 February) ২০২৫-২৬ সালের বাজেট পেশ করতে চলেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নির্মলা সীতারামন (Union Minister Nirmala Sitharaman)। বাজেটে মুদ্রাস্ফীতি (Inflation), কর্মসংস্থান (employment), অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির (Economic growth) মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলির দিকে মনোনিবেশ করা হতে পারে।
এবারের বাজেটে সরকার রেলওয়ে, বিমান চলাচল, স্বাস্থ্যসেবা, হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট, ডেটা সেন্টার এবং উৎপাদনের মতো খাত সম্পর্কে বরাদ্দ বা ঘোষণা করতে পারে।
আরও পড়ুন: আশা-ভরসার বাজেট-২০২৫-২৬, কী চাইছে মধ্যবিত্ত সমাজ
স্বাস্থ্যসেবা
ওষুধ খাতে বড় পরিবর্তনের আশা করা হচ্ছে। বায়োকনের মতো কোম্পানিগুলি ক্যানসার ও বিরল রোগের ওষুধগুলি কর মকুব করার জন্য সরকারের কাছে অনুরোধ করেছে। সেটি বাস্তবায়ন হলে, গুরুতর রোগের চিকিৎসা নাগালের মধ্য হতে পারে।
পেট্রোল এবং ডিজেল
সাধারণ মানুষের মাথাব্যথা পেট্রোল ডিজেলের দাম বৃদ্ধি। গত বছর, সরকার জ্বালানি পরিকাঠামো উন্নত করার জন্য পেট্রোলিয়াম ও প্রাকৃতিক গ্যাস মন্ত্রককে ১.১৯ ট্রিলিয়ন টাকার বাজেট দিয়েছে। তবে, পেট্রোলিয়াম ভর্তুকি কমানো হয়েছিল। এবার কনফেডারেশন অফ ইন্ডিয়ান ইন্ডাস্ট্রি সরকারের কাছে জ্বালানির উপর আবগারি শুল্ক কমানোর দাবি জানিয়েছে। সেটি গৃহীত হলে কমতে পারে পেট্রোল ডিজেলের দাম।
ইলেকট্রনিক্স সামগ্রী
এবছর স্মার্টফোন এবং ইলেকট্রনিক পণ্যের দাম কমার সম্ভাবনা রয়েছে। আর্থিক সহায়তা এবং শুল্ক হ্রাস টেক্সটাইল এবং পোশাক শিল্পকে চাঙ্গা করবে বলে আশা করা হচ্ছে। এর ফলে বিশ্ব বাজারে ভারতীয় পোশাকের প্রতিযোগিতামূলকতা শুধু বাড়বে না, কমবে দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি পোশাকের দাম। তবে ফোন ও ল্যাপটপ, টিভি ইত্যাদির দাম কমে তাহলে একদিকে যেমন বিক্রি বাড়বে তেমনি ডিজিটাল ইন্ডিয়ারও প্রসার ঘটবে।
আয়কর
মধ্যবিত্তদের স্বস্তি দিতে সরকার আয়কর স্ল্যাব পরিবর্তন করতে পারে। আশা করা হচ্ছে যে ধারা ৮০সি-র অধীনে সীমা ১.৫ লক্ষ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৩ লক্ষ টাকা করা হতে পারে। এর ফলে করদাতারা আরও বেশি সাশ্রয় করার সুযোগ পাবেন। বর্তমানে স্ট্যান্ডার্ড ডিডাকশন (Standard deduction) সহ ৭ লক্ষ ৭৫ হাজার টাকা আয়ের উপর কর দিতে হয় না। সরকার এই সীমা বাড়িয়ে ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত করতে পারে। সরকার স্ট্যান্ডার্ড ডিডাকশন সীমা ৭৫ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ১ লক্ষ টাকা করতে পারে।
রেলপথ
রেলপথের উপর জোর দেওয়া হতে পারে। কেন্দ্র সরকার, সড়ক পরিবহনের চেয়ে রেলওয়ে আধুনিকীকরণ, বন্দে ভারত ট্রেনের উদ্বোধন এই গুলির উপর বেশি মনোনিবেশ করেছে। এর ফলে লজিস্টিকস এবং উৎপাদন খাত উপকৃত হবে।
প্রসঙ্গত, কেন্দ্রীয় বাজেট একটি মাইলফলক হতে চলেছে। অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনের ঘোষণাগুলি কেবলমাত্র আগামী অর্থবছরে ভারতের অর্থনৈতিক গতিপথের জন্য সুর নির্ধারণ করবে না তবে মুদ্রাস্ফীতি, বেকারত্ব এবং শিল্প বৃদ্ধির মতো চাপের সমস্যাগুলি মোকাবেলায় সরকারের প্রতিশ্রুতিও প্রতিফলিত করবে।
দেখুন অন্য খবর: