ওয়েব ডেস্ক : প্রয়াত ভারতীয় সিনেমার জনপ্রিয় অভিনেতা তথা পরিচালক গোবর্ধন আসরানি (Govardhan Asrani)। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৪ বছর। জানা গিয়েছে, দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ ছিলেন তিনি। সোমবার, দীপাবলির দিন বিকেল ৪টে নাগাদ শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন অভিনেতা। প্রবীণ অভিনেতার মৃত্যুর (Death) খবর জানিয়েছেন ভাইপো অশোক আসরানি। তাঁর মৃত্যুতে বলিউড (Bollywood) সহ বিনোদন জগতে নেমে এসেছে শোকের ছায়া।
আসরানির (Govardhan Asrani) ব্যক্তিগত আপ্ত সহায়ক জানিয়েছেন, অসুস্থতার কারণে অভিনেতাকে জুহুর একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। চিকিৎসকরা জানিয়েছিলেন, তাঁর বুকে জল জমেছে। তবে শেষ রক্ষা হয়নি জনপ্রিয় এই অভিনেতার। অন্যদিকে, সোমবারই তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন হয় বলে খবর। প্রশ্ন উঠেছিল, এত তাড়াতাড়ি কেন শেষকৃত্য সম্পন্ন করা হল অভিনেতার? এ নিয়ে আপ্ত সহায়ক বলেছেন, আসরানি নিজের স্ত্রীকে বলে গিয়েছিলেন, তাঁর মৃত্যুর পর যেন তাঁকে নিয়ে মাতামাতি না করা হয়। সাই কারণেই শেষকৃত্য সম্পন্ন পওয়ার পরেই অভিনেতার মৃত্যুর খবর প্রকাশ্যে আনা হয়েছে।
আরও খবর : সলমন খানের ‘বেলুচিস্তান–পাকিস্তান’ মন্তব্যে তোলপাড় নেটদুনিয়া
১৯৪১ সালের ১ জানুয়ারি রাজস্থানের জয়পুরে জন্মগ্রহণ করেছিলেন আসরানি (Govardhan Asrani)। পড়াশোনা করেছিলেন সেন্ট জেভিয়ার্স স্কুল থেকে। আর হিন্দি সিনেমায় তাঁর কৌতুকাভিনয়ের অবদান অনস্বীকার্য। পাঁচ দশকের বেশি সময় ধরে ৩৫০টিরও বেশি ছবিতে অভিনয় করেছেন তিনি। তাঁর অভিনয় দর্শকের হৃদয়ে চিরস্থায়ী স্থান করে নিয়েছে।
প্রসঙ্গত, সত্তরের দশকে অসরানি(Govardhan Asrani) হয়ে ওঠেন বলিউডের অন্যতম জনপ্রিয় চরিত্র অভিনেতা। ‘মেরে আপনে’, ‘কোশিস’, ‘চুপকে চুপকে’, ‘ছোটি সি বাত’, ‘রফু চক্কর’, ‘অভিমান’, ‘বাবুর্চি’-এর মতো সিনেমায় তাঁর অভিনয় আজও স্মরণীয়। তবে তাঁর সবচেয়ে বিখ্যাত চরিত্র নিঃসন্দেহে রমেশ সিপ্পির কালজয়ী ছবি ‘শোলে’ (Sholay)-তে সেই জেলারের ভূমিকায়। যা আজও ভারতীয় সিনেমার ইতিহাসে অনন্য উদাহরণ হয়ে আছে। অভিনয়ের পাশাপাশি তিনি সফলভাবে পরিচালনা করেছেন ‘চলা মুরারি হিরো বননে’ (১৯৭৭) এবং ‘সালাম মেমসাব’ (১৯৭৯)-এর মতো ছবি। গুজরাটি সিনেমাতেও তিনি নায়ক হিসেবে দারুণ সাফল্য পেয়েছিলেন। জনপ্রিয় ‘ধমাল’ সিরিজের মতো কমেডি ছবিতেও তাঁকে দেখা গিয়েছিল। যেখানে তাঁর অভিনয় দর্শকদের প্রশংসা কুড়িয়েছিল। তবে অসরানির প্রয়াণে শোকাহত গোটা বলিউড। তাঁর অসামান্য কৌতুক প্রতিভা এবং সময়জ্ঞান চিরকাল ভারতীয় চলচ্চিত্রের স্মৃতিতে বেঁচে থাকবে।
দেখুন অন্য খবর :