কলকাতা: মোদি-শাহের অনুরোধে ভোটে লড়তে রাজি হয়েছিলেন। রাজ্যে বিজেপি ক্ষমতায় এলে তাঁকেই অর্থমন্ত্রীর দায়িত্ব দেওয়ার কথা ভেবেছিল গেরুয়া শিবির। অর্থনীতিবিদ অশোক লাহিড়ী বালুরঘাটে পদ্ম ফোটাতে সক্ষম হলেও রাজ্যে কার্যত ভরাডুবি হয়েছে গেরুয়া শিবিরের। সেই অশোক লাহিড়ীর দলবদল নিয়ে কয়েকদিন ধরে জল্পনা চলছে। তিনি রাজ্যের অর্থমন্ত্রী হচ্ছেন, সেই খবরও ছড়িয়ে পড়ে। তবে মঙ্গলবার সাংবাদিক সম্মেলন করে সেই জল্পনায় জল ঢাললেন বিজেপি বিধায়ক।
হেস্টিংসের দলীয় কার্যালয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন বালুরঘাটের বিধায়ক। তিনি বলেন, আমার নামে গুজব ছড়ানো হয়েছে। আমি তৃণমূলে যাব না, বিজেপিতেই আছি। শার্লক হোমস বা ব্যোমকেশ বার করতে পারবেন কে গুজব ছড়াচ্ছেন।বিজেপি আমাকে বিধায়ক বানিয়েছে। বিজেপি আগামী ৫ বছর যদি বিরোধী দলের আসনে বসে, আমিও সেখানেই বসবো। আমি আয়ারাম গয়ারামের রাজনীতি করতে আসিনি৷
আরও পড়ুন: লকেট কি তৃণমূলে? হুগলির সাংসদের সঙ্গে টুইট যুদ্ধ কুণালের
এই অবধি ঠিকই ছিল। এর পরেই অশোকবাবুর একটি মন্তব্যে ফের তাঁকে নিয়ে জল্পনা ছড়িয়েছে। তিনি বলেন, আমি দেশের অর্থ কমিশনের সদস্য। মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যের উন্নয়নে কোনও পরামর্শ চাইলে যথাযথ গোপনীয়তা রক্ষা করে সেই পরামর্শ দেব। এই দেশ, রাজ্যের থেকে আমি অনেক কিছু পেয়েছি৷ এই বয়সে নতুন করে আর কিছু পাওয়ার নেই৷ বরং রাজ্যের উন্নয়নে কোনও অবদান রাখতে পারলে ভাল লাগবে৷
দলবদলের জল্পনা উড়িয়ে তিনি বলেন, বসন্ত কালে আমগাছে অনেক মুকুল আসে। পরে তার মধ্যে বেশ কিছু ঝরে যায়। আমি ঝরা মুকুল নই। আগামী ৫ বছর বিজেপিতেই থাকছি। গঠনমূলক বিরোধিতা করতে চাই। তবে তার মানে এই নয় যে সরকারের সব কাজে বিরোধিতা করতে হবে।
আরও পড়ুন: উত্তরবঙ্গ বিজেপিতে ভাঙন, শক্তি বৃদ্ধি তৃণমূলের
কেন্দ্রীয় সরকারের আর্থিক উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করেছেন অশোক লাহিড়ী। এ বারের বিধানসভা নির্বাচনে প্রথমে আলিপুরদুয়ারে প্রার্থী করা হয় অশোকবাবুকে। তবে দলের একাংশের বিদ্রোহের জেরে তাঁকে আলিপুরদুয়ার থেকে সরিয়ে দক্ষিণ দিনারপুর জেলার বালুরঘাটে প্রার্থী করা হয়। রাজ্যে বিজেপির ভরাডুবি হলেও বালুরঘাট আসন থেকে জয় পান প্রবীণ অর্থনীতিবিদ।