ওয়েব ডেস্ক: অবৈধভাবে বালি পাচার (Illegal Sand Trafficking) রুখতে রাজ্যে ফের সক্রিয় হয়েছে ইডি (ED)। চলছে নানা জায়গায় তল্লাশি অভিযান। একই সময়ে সক্রিয় ভূমিকায় রাজ্য পুলিশও (West Bengal Police)। বৈধ নথি ছাড়া বালি পাচার বন্ধ করতে বড়সড় অভিযানে নামল ঝাড়গ্রাম (Jhargram) জেলা পুলিশ। ধরপাকড়ে এক এক ধরা পড়ল সাত জন। সেই সঙ্গে বাজেয়াপ্ত করা হল নয়টি বালি বোঝাই ট্রাক ও ট্রাক্টর।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, জামবনি থানার চিঁচড়া এলাকায় জাতীয় সড়কে বসানো বিশেষ নাকা চেকিংয়ে প্রথমে ধরা পড়ে সাতটি ট্রাক। অধিকাংশ গাড়ির কাছেই ছিল না। বৈধ সিও কিংবা অন্য কোনও পরিবহন নথিও মেলেনি বলে খবর। এরপর থানার আইসি অভিজিৎ বসু মল্লিকের নেতৃত্বে বাংলা-ঝাড়খণ্ড সীমান্তের ধড়সা গ্রামে আলাদা একটি অভিযান চালায় পুলিশ। তাতে উদ্ধার হয় আরও দুটি বালি বোঝাই ট্রাক্টর।
আরও পড়ুন: আউশগ্রামে নাবালিকাকে ‘গণধর্ষণ’, গ্রেফতার ৬
ধৃতদের মধ্যে ওড়িশার ময়ূরভঞ্জ জেলার কুলডিহার বাসিন্দা সরোজ বাগদি ও ঝাড়খণ্ডের বাতবাটি গ্রামের লক্ষীরাম মুর্মুর পরিচয় মেলেছে। তাঁদের শুক্রবার ঝাড়গ্রাম জেলা আদালতে পেশ করা হলে বিচারক ১৪ দিনের জেল হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন। তদন্তকারী আধিকারিকদের অনুমান, ধৃতরা পাচারচক্রের নিম্নস্তরের কর্মী। তবে এর পিছনে যে কোনও বড় সিন্ডিকেট কাজ করছে, তার আশঙ্কাও উড়িয়ে দিচ্ছেন না তাঁরা।
ইতিমধ্যেই বালি তোলার অনুমতি–সংক্রান্ত জালিয়াতি, সিন্ডিকেট রাজ এবং অর্থপাচারের তদন্ত শুরু করেছে ইডি। সেই পরিস্থিতিতে জেলা পুলিশের ধারাবাহিক পদক্ষেপ প্রশাসনিক মহলে বিশেষ গুরুত্ব পাচ্ছে। পরিবেশবিদদের মতে, লাগামছাড়া বালি উত্তোলনে নদীর গতিপথ বদলে যাওয়া থেকে শুরু করে সেতু-সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া – একাধিক বিপদ হচ্ছে। তাই অবৈধভাবে বালির পাচার রুখতে এবার সক্রিয় পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ।
দেখুন আরও খবর:







