Wednesday, December 17, 2025
HomeScrollআইন না মেনেই শিশুকন্যা দান! বিরাট পদক্ষেপ নিল চাইল্ড লাইন
West Midnapore

আইন না মেনেই শিশুকন্যা দান! বিরাট পদক্ষেপ নিল চাইল্ড লাইন

বাড়িতে ‘লক্ষ্মী’ আসার খুশিতে চলছিল মিষ্টি বিতরণ, আচমকা বদলে গেল পরিস্থিতি!

পশ্চিম মেদিনীপুর: দুই ছেলে থাকলেও বাড়িতে ছিল না কোনও মেয়ে। ইচ্ছেপূরণ করতে আরেক দম্পতির সদ্যোজাত শিশুকন্যাকে (New Born Girl Child) বাড়িতে নিয়ে আসা হয়। নতুন অতিথিকে নিয়ে আনন্দে দিন কাটছিল দম্পতির। কিন্তু এক্ষেত্রে দত্তক নেওয়ার আইন (Child Adoption Act) না মানায় শেষমেশ সদ্যোজাতকে উদ্ধার করল চাইল্ড লাইন (Child Line)। পশ্চিম মেদিনীপুরের (West Midnapore) দাসপুর থানার বৈকুন্ঠপুর এলাকার ঘটনা। প্রাথমিকভাবে শিশুটিকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে ঘাটাল মহকুমা হাসপাতালে।

জানা গিয়েছে, বৈকুন্ঠপুরের বাসিন্দা সুমিত পাইন ও তাঁর স্ত্রী মনিকা পাইন তিন দিন আগে পূর্ব মেদিনীপুরের একটি বেসরকারি স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠান থেকে ওই সদ্যোজাত কন্যাশিশুটিকে নিজেদের বাড়িতে নিয়ে আসেন। এই দম্পতির আগে থেকেই দুই পুত্র সন্তান রয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে কন্যা সন্তানের ইচ্ছে থাকায় এক পরিচিতের সূত্রে ওই সদ্যোজাত কন্যাশিশুর খোঁজ পেয়ে তাঁরা শিশুটিকে বাড়িতে নিয়ে আসেন।

আরও পড়ুন: এবার রিষড়ায় ED-র হানা! শুরু তলাশি, জিজ্ঞাসাবাদ! কিন্তু কেন?

তিন দিন ধরে কন্যা সন্তানের মা-বাবা হওয়ার আনন্দে দিন কাটাচ্ছিল পাইন দম্পতি। শিশুটির নামও রাখা হয় ‘আরোহী’। বাড়িতে ‘লক্ষ্মী’ আসার খুশিতে সুমিত পাইন তাঁর দুই পুত্র সন্তানকে সঙ্গে নিয়ে সারা গ্রামে মিষ্টিমুখ করান বলেও জানা গিয়েছে। তবে চাইল্ড লাইনের তরফে স্পষ্ট জানানো হয়েছে, এভাবে এক ব্যক্তি বা দম্পতি অন্য কাউকে নিজের সন্তান দিতে পারেন না। শিশু দত্তকের জন্য নির্দিষ্ট আইন ও নিয়ম রয়েছে, যা এই ক্ষেত্রে মানা হয়নি। সেই কারণেই শিশুটিকে উদ্ধার করা হয়েছে।

এদিকে মনিকা পাইন জানান, যে দম্পতির কাছ থেকে শিশুটিকে আনা হয়েছিল, তাঁরা দু’জনেই চাকুরিজীবী। তাঁদের আগেই তিনটি কন্যা সন্তান রয়েছে, যারা বর্তমানে যথেষ্ট বড়। অসাবধানতাবশত ফের গর্ভে সন্তান আসায় পুত্র সন্তানের আশা করেছিলেন তাঁরা। কিন্তু চতুর্থবারেও কন্যা সন্তান হওয়ায় শিশুটিকে রাখতে চাননি। মনিকার দাবি, ওই দম্পতি স্বেচ্ছাতেই সদ্যোজাতকে তাঁদের হাতে তুলে দিয়েছিলেন।

দেখুন আরও খবর:

Read More

Latest News