Tuesday, November 4, 2025
HomeScrollFourth Pillar | পশ্চিমবঙ্গে ভোটার তালিকা সংশোধনে কাদের নাম কাটা পড়বেই?
Fourth Pillar

Fourth Pillar | পশ্চিমবঙ্গে ভোটার তালিকা সংশোধনে কাদের নাম কাটা পড়বেই?

অসমে ২০১৯ সালে এনআরসি হয়, তাতে ১২ লক্ষ বাঙালি হিন্দুর নাম বাদ যায়

আমাদের দেশজুড়ে, এই বাংলাতেও এখন দু’টো ন্যারেটিভ সমান্তরালভাবে তৈরি হচ্ছে, দু’টো আলাদা গল্প বলা হচ্ছে। একই দল দু’টো গল্প, দু’টো ধারণার প্রচার করেই যাচ্ছে। একটা বেশিরভাগ মানুষের কাছে বলা হচ্ছে আর একটা কিছু মানুষ মাঝে মধ্যে বলছেন। গুলিয়ে যাচ্ছে? দাঁড়ান একটু পরিস্কার করে বলি। আবার কথা উঠছে নাগরিকত্ব বিলের, কিন্তু এবারের আড়াল হল, ভোটার লিস্ট, এসআইআর। যে ভোটাররা ভোট দিয়ে সরকার তৈরি করেছে, তাঁদের মধ্যে কারা নাগরিক, কারা নাগরিক নয় – সেটা খোঁজা হচ্ছে। আর সেই আলোচনার মধ্যে দু’টো প্রধান ন্যারেটিভ কী কী? (১) এই স্পেশ্যাল ইনটেন্সিভ রিভিশন অফ ভোটার লিস্ট কোনও মানুষের নাগরিকত্ব কেড়ে নেবার জন্য নয়, বরং এটা হল অনুপ্রবেশকারীদের বেছে বার করে সীমান্তের ওপারে পাঠিয়ে দেওয়ার। ঠিক যেমন সিএএ-এর সময় বলা হয়েছিল এই আইন ৩টে দেশের সংখ্যালঘু ধর্মীয় কারণে নিপিড়িতদের নাগরিকত্ব দেওয়ার আইন। এটা বলছেন প্রধানমন্ত্রী, বলছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, বলছেন বড় বড় নেতা মন্ত্রীরা। (২) এবারেও তলার সারিএ বিজেপি কর্মী, স্যোশ্যাল মিডিয়ায় বিজেপি কর্মী নেতারা বলছেন, হিন্দুরা প্রত্যেকে নাগরিক, তাঁদের ভোট থাকবে, পাবে কিন্তু মুসলমানদের ভোটার লিস্ট থেকে, এদেশ থেকে তাড়াতে হবে। হিন্দুদের কোনও কাগজ লাগবে না কিন্তু মুসলমান একজন কেও ছাড়া হবে না। খুব পরিস্কার ভাবেই এটা স্যোশাল মিডিয়াতে প্রচার করা হচ্ছে। এদের কাউকে কোনও জবাবদিহি করতে হবে না সংসদের কাছে বা বিধান সভায়।

এই পদ্ধতিতে মেরুকরণ করার কাজ চলছে দেশজুড়ে। প্রতিটি বিষয়ে। মুসলমানদের জনসংখ্যা হিন্দুদের ছাপিয়ে যাবে, মুসলমানদের ৪-৫টা বউ, মুসলমানরা ভীষণ নোংরা, মুসলমানরা অশিক্ষিত, ওদের কোরানে লেখা আছে হিন্দুদের কতল করতে হবে, সবচেয়ে বেশি অপরাধী মুসলমান ধর্মের মানুষেরা ইত্যাদি ইত্যাদি। প্রতিটা বিষয়ে তলায় পাঠানো হচ্ছে মিথ্যে তথ্য আর উপরে অন্য কথা বলা হচ্ছে। বছরের পর বছর পাশাপাশি বসবাস করে আসা পড়শিদের থেকে আলাদা হচ্ছে হিন্দুরা। কেন? আপনার পাশাপাশি মানুষজনের সঙ্গে কথা বলুন, পরিস্কার বুঝতে পারবেন। অর্থনীতির পরিসংখ্যান নতুন করে দেব না। যা অবস্থা তাতে ক্লাস টেনের একটি ছেলেও বলে দেবে যে, ঠিক এই মূহুর্তে অন্য কিচ্ছু নয় প্রধানমন্ত্রী, স্বারাষ্ট্রমন্ত্রী, নির্মলা সীতারমনদের উচিত অর্থ ব্যবস্থায় মনোযোগ দেওয়া। গ্রামের গরীব মানুষের হাতে টাকা পৌঁছনো। তাঁদের ক্রয়ক্ষমতা বাড়লে অর্থনীতির চেহারা বদলাতে শুরু করবে। অথচ এই সরকার ‘তিন তালাক’ নিয়ে ব্যস্ত, ‘৩৭০ ধারা’ নিয়ে ব্যস্ত, ‘রামমন্দির’ নিয়ে ব্যস্ত বা ধরুন সিএএ, এনআরসি, এনপিআর – এসব নিয়েই পড়ে রয়েছেন। এখন নতুন ইস্যু এসআইআর। কেন? তাঁরা বোকা আর আপনারা চালাক? না এরকমটা নয়।

একটু ইতিহাসের দিকে তাকান। যে সময় কংগ্রেস বঙ্গভঙ্গের বিরোধিতা করছেন তখন হিন্দু মহাসভা বাংলাকে ভাগ করার কথা বলছে। আরএসএস-এর জন্মদাতা বিনায়ক দামোদর সাভারকর দ্বি-জাতিতত্ত্বের কথা বলছেন। গান্ধী নয় যে সাভারকরকে আরএসএস রাষ্ট্রপিতা বলে, সেই সাভারকর বলছেন, “জার্মানরাই যেখানে গরিষ্ট সেখানে ইহুদিরা করছে কী?” তিনি হিটলারকে সমর্থন করছেন। ‘Bunch of Thoughts’-এ সংঘগুরু গোলওয়ালকর বলছেন হিন্দুরাষ্ট্রের কথা, বলছেন লড়াইটা মুসলমানদের সঙ্গে, ব্রিটিশ দের সঙ্গে নয়। দ্বি-জাতিতত্ত্বের প্রথম উদ্যোক্তা তো এই বিনায়ক দামদর সাভারকর, পরে হুবহু এই তত্ত্ব নিয়ে মাঠে নামেন জিন্নাহ। আরএসএস মুখপত্র ‘Organiser’-এ, স্বাধীনতা দিবসের আগের দিন (August 14, 1947) লেখা হয় “Let us no longer allow ourselves to be influenced by false notions of nationhood. Much of the mental confusion and the present and future troubles can be removed by the ready recognition of the simple fact that in Hindusthan only the Hindus form the nation and the national structure must be built on that safe and sound foundation…the nation itself must be built up of Hindus, on Hindu traditions, culture, ideas and aspirations.”

মানে দেশ গড়তে হবে কেবলমাত্র হিন্দুদের নিয়েই। অন্য সব ধর্মের মানুষ থাকবে দ্বিতীয় শ্রেণির নাগরিক হয়ে। হ্যাঁ, সেই ঝাড়াই বাছাই-এর কাজ তাঁরা শুরু করেছিল সিএএ আর এনআরসি এনে। মানুষের মেজাজ বুঝে হুঙ্কার দিয়েছে, কিন্তু সেভাবে কাজ শুরু হয়নি। এবারে ঘুরপথে নির্বাচন কমিশনকে দিয়ে সেই ছাঁটাইয়ের কাজ শুরু করেছে। কিন্তু এই মূর্খদের মাথায় ঢোকে না, এই বাংলায় শুধু নয়, বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী এলাকাতে এই ধরণের অভিযান শুরু হলে মারা পড়বে অসংখ্য হিন্দু, তাঁদের নাম এখন ভোটার লিস্ট থেকে কাটা যাবে। আর নিশ্চিতভাবে যাদের নাম কাটা যাবে, তাঁদের মধ্যে সিংহভাগই থাকবেন দলিত মানুষজন। ২০১৯-এ অসমে চূড়ান্ত জাতীয় নাগরিক পঞ্জি বা এনআরসি-তে বাদ পড়েছিল প্রায় ১৯ লক্ষ মানুষের নাম। সারা অসম বাঙালি যুব ছাত্র ফেডারেশনের দাবি কেবল নয় তথ্য বলছে, এর মধ্যে বাঙালি হিন্দুর সংখ্যা ১০ থেকে ১২ লক্ষ। বাঙালি মুসলিম বাদ পড়েছেন দেড় থেকে দু’লক্ষ। এই ঘটনায় বিরাট অস্বস্তিতে পড়েছিল বিজেপি। কারণ তারা মনে করেছিল, বাদ পড়াদের তালিকায় মূলত সংখ্যালঘুদের নাম থাকবে। কিন্তু বাস্তবে হয়েছিল ঠিক উল্টো। যাঁরা বাদ পড়েছেন, তাঁদের অর্ধেকের বেশি হিন্দু, গোর্খা, দলিত আর স্থানীয় আদিবাসী সমাজের লোক। এনআরসি থেকে এই বিরাট সংখ্যক হিন্দু দলিত বাদ পড়ার ফলে আগামী দিনে দলের হিন্দু ভোট-ব্যাঙ্ক ধাক্কা খাবে বলে আশঙ্কা করেই ঐ এনআরসি-র রিপোর্টটাকে তুলে রাখা হয়েছিল, আর নামানো হয়নি। আমতা আমতা করে বিজেপি নেতারা বলেছিল ‘‘সরকার নাগরিকত্ব আইন সংশোধন করে হিন্দুদের নাগরিকত্ব দিয়ে দেবে।’’ কিন্তু ১২ লক্ষ হিন্দুকে নাগরিকত্ত্ব দিতে কত সময় লাগত? আর কী করেই বা দিত?

আরও পড়ুন: Fourth Pillar | প্রতিটা আত্মহত্যা, প্রতিটা প্রাণের জবাব দিতে হবে বাংলার বিজেপি নেতাদের

CAA-এর অধীনে শুধু সেই মানুষজন আবেদন করতে পারেন, যারা (১) ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বরের আগে ভারতে প্রবেশ করেছেন, এবং (২) পাকিস্তান, বাংলাদেশ, বা আফগানিস্তান থেকে এসেছেন, এবং (৩) হিন্দু, শিখ, বৌদ্ধ, জৈন, পার্সি বা খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বী, এবং (৩) যাদের নিজ দেশে ধর্মীয় নিপীড়নের কারণে ভারতে আশ্রয় নিয়েছেন। তার মানে এই আইন নাগরিকত্বহীন বা বিদেশি নাগরিকদের জন্য, যারা ভারতে এসেছেন, ভারতের নাগরিকদের জন্য নয়। যে মতুয়া রাজবংশীদের বলা হচ্ছে, নাম কাটা গেলেই সরকার আবার নাগরিকত্ব দেবে, ব্যাপারটা অত সোজা নয়, প্রথমে আপনাকে এক বিদেশি হিসেবেই আবেদন করতে হবে। হ্যাঁ, তারপর সেটা বিবেচনা করা হবে। কতটা জটিল? অসমে ২০১৯ সালে এনআরসি হয়। তাতে ১২ লক্ষ বাঙালী হিন্দুর নাম বাদ যায়। নিশ্চিতভাবেই অধিকাংশ চেষ্টা করেছিলেন, নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের মাধ্যমে নাগরিকত্বের আবেদন করতে। আজ পর্যন্ত নাগরিকত্ব পেয়েছেন কতজন? তিনজন। অর্থাৎ ০.০০০০০২৫ শতাংশ মানুষ। বাংলায় যদি এক কোটি মতুয়া রাজবংশী সম্প্রদায়ের মানুষের নাম ভোটার তালিকা থেকে বাদ যায়, তাহলে কতজন নাগরিকত্ব পাবেন? একই অনুপাত ধরলে ২৫ জন। এবং অসমের আরেক সমস্যা ছিল, বাঙালি মুসলমানদের কী হত? কোথায় তাঁদের পাঠানো হত? এসব ভেবে চিন্তেই বিজেপি নেতারা ঐ রিপোর্ট নিয়ে আর উচ্চবাচ্চ করেননি।

এবারে সেই একই ভুলের রিপিটেশন তাঁরা করতে যাচ্ছেন এই বাংলাতে। হ্যাঁ, কিছু বাঙালি মুসলমান এই পদ্ধতিতে তালিকা থেকে বাদ দেওয়া যাবে, কিন্তু তার দশগুণ দলিত মতুয়া রাজবংশীদের নাম বাদ পড়বে, সেটা ঐ যে মোদিজির ‘লেনে কা দেনে পড় যায়েঙ্গে’, ব্যুমেরাং হবে, হবেই। আর সেটা বুঝেই বিজেপি বিধায়ক অসীম সরকার ইতিমধ্যেই গান গেয়ে রেখেছেন। কারণ ভোট ২৬-এর এপ্রিল-মে, তার মধ্যে এই বিরাট প্রক্রিয়া চালিয়ে যাঁরা বাদ পড়বেন, তাঁরা কিন্তু ছিঁড়ে খাবেন এই নেতাদের। না, এই বোধ বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতাদের নেই, আছে বঙ্গ বিজেপির কিছু নেতার মাথায়। তাঁরা কপাল চাপড়াচ্ছেন, মুখে বলছেন এসআইআর চাই, কিন্তু দলের মধ্যের আলোচনা কিন্তু আলাদা। যদিও এই প্রথমবার আরএসএস থেকে এক্কেবারে নির্দিষ্ট নির্দেশ গিয়েছে এই এই এসআইআর অভিযানকে সফল করার জন্য, মঙ্গলবার সংঘের দক্ষিণবঙ্গের এক নেতা বলেন, “আমরা আগে দেখেছি সিপিআইএম-এর কর্মীরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটার তালিকার কাজ করত। কে আছেন, কে নেই, তার খোঁজ নিত। এবার আমরাও মানুষকে এসআইআর নিয়ে সচেতন করব।” সংঘের সেই নেতার দাবি, “আমরা এসআইআর প্রক্রিয়ার অপেক্ষায় ছিলাম। এসআইআর-এ ভুয়ো, মৃত ভোটারের পাশাপাশি আদৌ নাগরিকই নন, এমন ভোটারদের নাম তালিকা থেকে বাদ দেওয়া আমাদের লক্ষ্য।” তার মানে ঐ কালিদাসের দল এখনও বুঝতেই পারেননি যে সামান্য কিছু বাঙালি মুসলমান মানুষজনদের নাম কাটা পড়বে, কিন্তু তার অনেক অনেক বেশি হিন্দু দলিত, মতুয়া, রাজবংশীদের নাম কাটা পড়বে।

একজন সাংবাদিকের সঙ্গে এই আলোচনার সময়ে তিনি প্রশ্ন করেছিলেন, এমনটা কেন হচ্ছে? কেন এই হিন্দু দলিত আদিবাসীদের নাম কাটা পড়েছিল অসমে? তার উত্তর হল – (১) যাঁরা সত্যিই অনুপ্রবেশকারী, তাঁরা অনেক বেশি প্রস্তুতি নিয়েই এসেছেন, এসেই যাবতীয় ডকুমেন্টস ইত্যাদি তৈরি করিয়েছেন। (২) এই অনুপ্রবেশের কারণ ছিল মূলত অর্থনৈতিক। ভারতে তাঁদের রোজগার, ব্যবসা চালানোর জন্য। তাই তাঁরা দেশজুড়ে ছড়িয়ে গিয়েছেন। (৩) অন্যদিকে বিভিন্ন সময়ে যাঁরা পালিয়ে এসেছেন, নিজেদের অসুরক্ষিত মনে করে চলে এসেছেন এপারে বাংলায়, অসমে, ত্রিপুরায়, তাঁরা এসবের কথা ভাবেনইনি। কলোনি তৈরি হয়েছে। তাঁদের দাবি ছিল রেশন কার্ডের, ভোটার লিস্টে নাম তোলার। কিন্তু নাগরিকত্বের প্রমাণ, পালিয়ে আসার কারণ, তার দলিল ডকুমেন্টস ইত্যাদির কথা তাঁদের মাথায় ছিল না। কাজেই সেই দিক থেকে আজও তাঁরা অসহায়। বিজেপি সেই দলিতদের নিয়েই খেলছে, একবার রাজবংশীদের আলাদা রাজ্য, একবার মতুয়াদের নাগরিকত্ত্ব ইত্যাদির কথা বলে। কিন্তু আজ সেটা ব্যুমেরাং হয়ে ফিরছে। হোক এসআইআর, নজর রাখুন একটা বৈধ নামও যেন বাদ না যায়, কিন্তু এসবের পরেও বিশেষ করে অসংখ্য দলিত, আদিবাসী, রাজবংশী ইত্যাদিরা বাদ পড়বেন। আর সেদিন বঙ্গ বিজেপিতে হাহাকার শোনা যাবে, আজ বলছি মিলিয়ে নেবেন।

কিন্তু তারপরেও আজ এক আদর্শগত লড়াইয়ের মুখোমুখি আমাদের দেশ, আমার স্বদেশ ভারতবর্ষ। একদিকে প্রকাশ্যে এবং পরোক্ষে হিন্দুরাষ্ট্রের স্বপ্ন, অন্যদিকে সংবিধান বাঁচানোর লড়াই। বড় অসম এ লড়াই। তবুও নিশ্চই ফ্যাসিস্ট বিরোধী সবথেকে বড় জোট তৈরি হবে সময়ের দাবি মেনেই, বিরোধীরা আটকে দেবেন এই ঘৃণ্য চক্রান্ত। ভাবতে ভাল লাগবে যে, আমাদের দেশ আমাদের সুমহান ঐতিহ্য ‘বসুধৈব কুটুম্বকম’-এর কথা বলবে আবার। কেন এমন আশা করছি? করছি, কারণ রাস্তায় তো বারবার নেমেছেন ছাত্ররা, রাস্তায় যুবকরা, রাস্তায় মহিলা বৃদ্ধরাও নেমেছেন। ঐ শীতেও শাহীনবাগে প্রতিরাত মহিলাদের বসেছিলেন, ২০ দিনের শিশুকে নিয়ে হাজির ছিলেন মা। আজও ৫০ শতাংশ হিন্দু বিজেপিকে ভোট দেয় না, তাঁদের সাম্প্রদায়িক চক্রান্তে পা দেয় না। ঐখানেই লুকিয়ে রয়েছে আমাদের ভরসা। আমাদের আশা ওইটুকুকে ঘিরে। নতুন প্রজন্ম বুঝে ফেলেছে এই ষড়যন্ত্র, তাঁরাই আটকে দেবে ফ্যাসিস্টদের।

Read More

Latest News