ওয়েব ডেস্ক: জার্মানির (Germany) বিদেশমন্ত্রী অ্যান্নালেনা বেয়ারবক (Annalena Baerbock) নয়া সামরিক জোটের ইঙ্গিত দিচ্ছেন। তিনি ইয়োরোপকে(Europe) আরও শক্তিশালী নেতৃত্ব দেওয়ার আহ্বান জানালেন। বেয়ারবক বলেন, কঠিন বাস্তবের যুগ আগত। এই প্রেক্ষিতে আমাদের শক্তিশালী ক্ষমতার বিরুদ্ধে আগের চেয়ে ভালোভাবে নিয়ম ভিত্তিক আন্তর্জাতিক শৃঙ্খলা মেনে চলতে হবে।
তিনি ইয়োরোপ ও ইউক্রেনের নিরাপত্তার জন্য ইয়োরোপের যৌথ সামরিক বাহিনীর কথা বলেছেন। এতদিন ন্যাটো (Nato) বা নর্থ অ্যাটলান্টিক ট্রিটি অর্গানাইজেশন-ই ছিল আমেরিকা ও ইয়োরোপের সামরিক জোট। সেই ন্যাটোর উপরে কি ভরসা হারাচ্ছে ব্রিটেন ও জার্মানি? ন্যাটো সামরিক জোটে ৩২টি দেশের মধ্যে ২টি আমেরিকা মহাদেশের। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডা। বাকি ৩০টিই ইয়োরোপীয় দেশ। তথাকথিত সোভিয়েত আগ্রাসনের বিরুদ্ধে ইয়োরোপের নিরাপত্তা দিতেই গড়ে উঠেছিল ন্যাটো। যার প্রধান ভরসা ছিল আমেরিকার অর্থ ও সামরিক সাহায্য। এবার কি ভেঙে পড়ছে সেই স্থিতাবস্থা? উঠছে প্রশ্ন।
আরও পড়ুন: ‘ইউক্রেনের পাশে আছি’, জেলেনস্কিকে পূর্ণ সমর্থনের আশ্বাস ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী স্টার্মারের
উল্লেখ্য, এদিনই ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী কিয়ের স্টার্মার ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভ্লদিমির জেলেনস্কি সহ ইউরোপের বিভিন্ন রাষ্ট্রপ্রধানদের নিয়ে লন্ডনে বৈঠক করবেন। সেখানে কিভের জন্য ইউরোপের সাহায্য দেওয়া নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হবে। ওভাল অফিসে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভ্লদিমির জেলেনস্কির তীব্র বাদানুবাদের পরে ইয়োরোপ ইউক্রেনের পাশে দাঁড়িয়েছে। এতদিন অলিখিত আমেরিকার নেতৃত্বেই ইয়োরোপ চলত। রাশিয়ার সঙ্গে ইউক্রেনের যুদ্ধে কিভকে সবচেয়ে বেশি সামরিক সাহায্য করেছে আমেরিকা। ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার পর বিদেশনীতি বদলেছে আমেরিকা। রাশিয়ার প্রতি সুর নরম ট্রাম্পের।
দেখুন অন্য খবর: