ওয়েবডেস্ক- মণিপুরের (Manipur) জাতীয় মহাসড়ক-২ নিয়মিত যানবাহন চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে। তবে কুকি (Kuki)-জো এবং মেইতেই (Meitei) সম্প্রদায়ের সদস্যরা একে অপরের অঞ্চলে প্রবেশ করছেন না। ১৩ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী মোদির মণিপুর সফরের আগে, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক গুরুত্বপূর্ণ মহাসড়কটি খোলার ঘোষণা করেছিল। এই পথটির মাধ্যমে স্থলবেষ্টিত ইম্ফল উপত্যকায় প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র আনা হয়। এই সম্প্রদায়ের মধ্যে জাতিগত সংঘর্ষ কমে এসেছে, কিন্তু মনে হচ্ছে উভয় সম্প্রদায়েরই রাস্তায় নামার কোনও তাড়াহুড়ো নেই। ইম্ফল উপত্যকাকে নাগাল্যান্ডের ডিমাপুরের সঙ্গে এবং আরও পরে কাংপোকপির পার্বত্য জেলা হয়ে অসমের সঙ্গে সংযুক্তকারী মহাসড়কে বাণিজ্যিক এবং ব্যক্তিগত যানবাহন চলাচল করে।
কুকি-জো কাউন্সিল এক চিঠিতে বলেছে, যেহেতু মেইতেই এবং কুকি-জো সম্প্রদায়ের মধ্যে বিরোধের কোনও নিষ্পত্তি বা চুক্তি এখনও হয়নি, তাই উভয় পক্ষের কাউকেই কোনও পরিস্থিতিতে বাফার জোন অতিক্রম করতে হবে না। লঙ্ঘনের ফলে কেবল গুরুতর পরিণতি হবে এবং শান্তি ও নিরাপত্তার আরও অবনতি ঘটবে। কাউন্সিক আরও সতর্ক করে বলেছে, বিবৃতির ভুল বয়ান বা বিকৃত করা এই সংবেদনশীল সময় আরও উত্তেজনা তৈরি করবে।
আরও পড়ুন- ‘পশ আইন রাজনৈতিক দলে কার্যকর নয়’, জানাল শীর্ষ আদালত
ভাঙাচোরা এবং গর্তে ভরা এই মহাসড়কটি স্থলবেষ্টিত ইম্ফল উপত্যকায় প্রয়োজনীয় সরবরাহের মূল চাবিকাঠি। এটি ইম্ফলের বিমানবন্দরে যাওয়ার মূল রাস্তা, যা ৩ মে, ২০২৩ তারিখে রাজ্যে দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে জাতিগত সহিংসতা শুরু হওয়ার পর থেকে কুকি-জো সম্প্রদায়ের লোকেরা এখনও প্রবেশ করতে পারেনি।
২০২৩ সালের মে মাসে মণিপুরে মেইতেই ও কুকি জাতিগোষ্ঠীর মধ্যে ভয়াবহ জাতিগত সংঘাত শুরু হয়। বহু মানুষের প্রাণহানি ঘটে, লক্ষাধিক মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়। বহু স্থানে কুকি অধ্যুষিত পাহাড়ি এলাকা থেকে মেইতেই অধ্যুষিত উপত্যকা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। তখন থেকে এনএইচ-০২ কার্যত বন্ধ ছিল, ফলে রাজধানী ইম্ফলসহ পুরো রাজ্যের যোগাযোগ ও পণ্য সরবরাহে বড় ধরনের সংকট তৈরি হয়।
দেখুন আরও খবর-