সুজিত ভট্টাচার্য্য, বুদবুদ: গ্রামে নেই রাস্তা, আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষদের জন্য কেন্দ্রের পাঠানো টাকা কিছুই খরচ করে না রাজ্য সরকার (State Government) । যার কারণে গ্রামে কেউ অসুস্থ হলে, রাস্তা না থাকায় খাটিয়ায় করে ধানক্ষেতের আল ধরে রোগীদের নিয়ে যেতে হয় হাসপাতালে। এমনই অভিযোগ তুলে একটি ভিডিও সমাজ মাধ্যমে পোস্ট করেন সৌমিত্র খাঁ (Soumitra kha)।
তিনি দাবি করেন, ভিডিওটি পূর্ব বর্ধমান (East Burdwan District) জেলার আউসগ্রাম (Ausgram) ২ নম্বর ব্লকের বুদবুদ থানার অন্তর্গত দেবশালা গ্রাম পঞ্চায়েতের আমানিডাঙ্গা এলাকার। ভিডিও পোস্ট করে তিনি দাবি করেন, গত সোমবার আমানিডাঙা আদিবাসী গ্রামের যুবক বুধি মুর্মু অসুস্থ থাকায় তাকে খাটিয়া করে মাঠের আলের রাস্তা ধরে হাসপাতালে যেতে হয়।
সমাজ মাধ্যমে এমনই একটি ভিডিও প্রকাশে আসার পর সেই ভিডিও তিনিও পোস্ট করে রাজ্য সরকারের উপর ক্ষোভ উগড়ে দেন। যদিও এই ঘটনার বিষয়ে পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদের সদস্য রামকৃষ্ণ ঘোষ জানিয়েছেন, কয়েকটি আদিবাসী পরিবারকে নিয়ে ছোট্ট একটি গ্রাম কুনুর নদীর তীরে আছে। সেই গ্রামে কোনও বিদ্যুৎ ছিল না। কোনো রাস্তাও ছিল না। সেখানে উদ্যোগ নিয়ে বিদ্যুতের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন- বিপর্যস্ত উত্তরবঙ্গে ত্রাণ সামগ্রী পৌঁছতে রওনা হলেন কল্যাণীর গয়েশপুরের তৃণমুলের কর্মীরা
গ্রামের ভিতর থেকে বেশ কিছুটা রাস্তাও নির্মাণ করা হয়েছে। বাকি রাস্তা নির্মাণ করার জন্য কেউ জমি দিতে রাজি হচ্ছে না।
যদিও কেউ রাজি হয় তারা আবার জমির মালিকদের থেকে জমি কেনার কথা বলছে। যার কারণে জমি না মেলায় বাকি রাস্তা নির্মান করা সম্ভব হয় নি।
রামকৃষ্ণবাবু সৌমিত্র খাঁ এর প্রাক্তন স্ত্রীর প্রসঙ্গ টেনে সৌমিত্র খাঁকে কটাক্ষ করে বলেন তিনি বাঁকুড়ায় থাকেন।
আউশগ্রামের জঙ্গলমহলে কি উন্নয়ন হয়েছে সেটা তিনি ওখানে বসে জানতে পারবেন? তাকে ওই গ্রামে আসার জন্য আমন্ত্রণ জানিয়ে বলেন, সৌমিত্রবাবু আমানি ডাঙা গ্রামে ঢুকে দেখুক উন্নয়ন হয়েছে কিনা। আর যে টুকু রাস্তা এখনো নির্মাণ হয় নি সেটা তারাও উদ্যোগ নিয়ে দেখুক তারা পারে কিনা।
দেখুন আরও খবর-