ওয়েব ডেস্ক: দুর্গাপুর কাণ্ডের (Durgapur Incident) তদন্তে নেমে জঙ্গলের মূল ঘটনাস্থল আগেই ঘিরে ফেলেছিলেন তদন্তকারীরা। পাঁচদিন পর নতুন করে জঙ্গল ঘিরল পুলিশ। আইকিউসিটি কাণ্ডে তদন্তে নয়া মোড়। ঘটনার প্রায় ৩৬ ঘণ্টা পর যে জায়গাটি প্রথমে ঘিরে রাখা হয়েছিল যেখানে ঘটেছিল সেই ঘটনা। কিন্তু এবার দেখা গেল, পুলিশের নজর আরও বিস্তৃত। আগের ঘেরা জায়গার পাশেই আরও ৫০ মিটার এলাকা নতুন করে কর্ডন করে দেওয়া হয়েছে। এই পদক্ষেপ ঘিরে উঠছে একের পর এক প্রশ্ন? তাহলে কি নতুন কোনও ফরেনসিক প্রমাণের খোঁজ মিলেছে? নাকি তদন্তে এসেছে নতুন কোনও মোড়? আর সেই সঙ্গেই বাড়ছে রহস্যও।
ধৃতদের সেখানে নিয়ে গিয়ে ঘটনার পুনর্নির্মাণও করা হয়েছিল। বৃহস্পতিবার ঘটনাস্থলের সেই ঘিরে রাখা এলাকা আরও কিছুটা বিস্তৃত করা হল। আগের ঘেরা জায়গার পাশেই আরও প্রায় ৫০ মিটার এলাকা নতুন করে কর্ডন করে দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে ‘নির্যাতিতা’র সহপাঠী-বন্ধুকে নিয়ে আবার ঘটনাস্থলে গিয়েছে পুলিশ। তদন্তকারীদের একটি সূত্রে খবর, তাঁর কথায় নানা রকম অসঙ্গতি থাকার কারণেই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃত ৫ জন ও নির্যাতিতার সঙ্গে সহপাঠীর বয়ান বার বার মিলিয়ে দেখা হচ্ছে। তাঁকে আবার ঘটনাস্থলে নিয়ে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। ঘটনার বিবরণ জানার চেষ্টা করেন তদন্তকারীরা। মূল ঘটনাস্থলটি আরও একটু বিস্তৃত করা হয়েছে। ঘটনাস্থলে গিয়েছে ফরেন্সিক দলও (Forensic Team)।
আরও পড়ুন: কালীপুজোয় বন্ধ স্কাই ল্যান্টার্ন? কী জানালেন সিপি?
ঘটনাস্থলটি ক্যাম্পাস থেকে প্রায় পাঁচশো মিটারের মধ্যে। পাকা রাস্তা থেকে একটি মাটির রাস্তা বেরিয়ে গিয়েছে সেখানে। একশো ফুট এগিয়ে দু’ভাগ হয়েছে। সেখান থেকেই জঙ্গলের শুরু। বাঁ দিকের সামান্য চওড়া রাস্তা গিয়েছে একটি শ্মশান ও মন্দিরের দিকে। সঙ্কীর্ণ রাস্তাটি গিয়েছে গ্রামে। সে রাতে ওই সঙ্কীর্ণ রাস্তাতেই অপরাধের ঘটনা ঘটে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে। বিজড়া গ্রামের বাসিন্দা আবু জাফর মল্লিক বলেন,”এই ঘটনায় গোটা গ্রামের মানুষ লজ্জিত। আমিও এই রাস্তা দিয়েই যাতায়াত করি নিজের কর্মসূত্রে। মাঝেমধ্যে চুরি ছিনতাই হত। তবে এই ঘটনার সঙ্গে যদি এই ছেলেগুলো প্রকৃতভাবে জড়িত থাকে তাহলে আমরা শাস্তি চাইছি।”
অন্য খবর দেখুন