ওয়েব ডেস্ক : ভোটার তালিকা সংশোধন বা এসআইআর (SIR) নিয়ে রাজ্য বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের (Sukanta Majumdar) সঙ্গে আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণ হয়ে গিয়েছে তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Kalyan Banerjee)। এবার শ্রীরামপুরের তৃণমূল সাংসদ আক্রমণ করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে (Suvendu Adhikari)। তিনি আক্রমণ করে বলেছেন, শুভেন্দু কাকে-কাকে চাকরি দিয়েছে, কিছুদিনের মধ্যে সেই তালিকা দিয়ে দেবেন তিনি। কোথা থেকে কত টাকা তিনি তুলেছেন, তার হিসেবও দেবেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
সম্প্রতি শুভেন্দুর রক্ষাকবচ প্রত্যাহার করেছে কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। তার পরেই তাঁকে আক্রমণ করলেন কল্যাণ। শনিবার জগদ্ধাত্রী পূজার উদ্বোধনী অনুষ্ঠান থেকে রাজ্যের বিরোধী দলনেতাকে আক্রমণ করে তৃণমূল (TMC) সাংসদ বলেন, নিষেধাজ্ঞার জন্য বহু এফআইর নিয়ে শুভেন্দুর বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করা যায়নি। তিনি আরও বলেছেন, চাকরি দেওয়া নিয়ে শুভেন্দু চ্যালেঞ্জ করে জানিয়েছিল মামলায় ওঁর নাম নেই, নাম রয়েছে রাখাল মুখোপাধ্যায় আর ওর সব ছেলেপুলেদের। আর সেই FIR স্থগিত হয়েছিল।
আরও খবর : বাংলার কত কাছে ঘূর্ণিঝড় ‘মন্থা’? কতটা প্রভাব পড়বে?
তবে প্রশ্ন উঠেছিল কে এই রাখাল মুখোপাধ্যায়? কল্যাণ বলেছেন, এই রাখাল হল শুভেন্দুর খাস লোক। তারাই বিভিন্ন জয়গায় সরকারি চাকরি দেওয়ার নামে টাকা তুলেছিল। কিন্তু সেই এফআইআর স্থগিত হয়েছে। তিনি জানিয়েছেন, হাইকোর্ট বলেছে যেখানে শুভেন্দুর নাম নেই সেখানে এফআইআর ক্রস করা যায় না। ফলে এর তদন্ত করবে পুলিশ। তিনি দাবি করেছেন, পুলিশ তদন্ত করলে রাজ্যের বিরোধী দলনেতার সাঙ্গপাঙ্গরা সবাই জেলে ঢুকবে।
কল্যাণ (Kalyan Banerjee) আরও বলেন, মেদিনীপুরে যে সব অযোগ্য শিক্ষক বেরিয়েছে, তাঁদের মধ্যে শুভেন্দু যাঁদের ঢুকিয়েছিল, সব লিস্ট দিয়ে দেব। এ নিয়ে সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) বলেছেন, কল্যাণের কথার কোনও উত্তর দেব না। শ্রীরামপুরে গিয়েই উত্তর দিয়ে এসেছি।
দেখুন অন্য খবর :







