ওয়েব ডেস্ক: অনেকেই দিনে প্রয়োজনের তুলনায় অনেক বেশি পরিমাণে চা খান। সকালে খালি পেটে চা খাওয়া থেকে শুরু করে দিনে ফাঁক পেলেই চা খেলে শরীরে ঘুম ও ক্লান্তি কমে। এমনটা মনে করেন অনেকেই। কিন্তু এই অভ্যাসের জেরে শরীরে দেখা দিতে পারে একাধিক সমস্যা। বিশেষত কিডনির ওপর চাপ সৃষ্টি করতে পারে। কী কী সমস্য়া হতে পারে জানেন, জেনে নিন একনজরে
অতিরিক্ত চা ও কিডনির উপর প্রভাব
- অক্সালেট: চায়ের মধ্যে অক্সালেট নামক একটি প্রাকৃতিক যৌগ থাকে। যখন আপনি অতিরিক্ত পরিমাণে এবং খুব ঘন চা পান করেন, তখন শরীরে অক্সালেটের মাত্রা বেড়ে যায়। অক্সালেট ক্যালসিয়ামের সাথে মিশে ক্যালসিয়াম অক্সালেট ক্রিস্টাল তৈরি করে, যা কিডনিতে পাথর তৈরির অন্যতম প্রধান কারণ।
- চাপ সৃষ্টি: অতিরিক্ত চা পানের ফলে কিডনির উপর ক্রমাগত চাপ সৃষ্টি হয়, বিশেষ করে যদি আপনার আগে থেকেই কিডনির সমস্যা থাকে।
- ক্যাফেইন: চায়ে থাকা ক্যাফেইন একটি মূত্রবর্ধক। এটি ঘন ঘন প্রস্রাব তৈরি করে শরীর থেকে জল বের করে দেয়, যা যদি আপনি পর্যাপ্ত পরিমাণে জল পান না করেন তবে ডিহাইড্রেশন (জলশূন্যতা) ঘটাতে পারে। দীর্ঘস্থায়ী ডিহাইড্রেশন কিডনির ওপর চাপ ফেলে এবং এর কার্যকারিতা ব্যাহত করতে পারে।
আরও পড়ুন: রাতে শাক খাওয়া কী উচিৎ? কেন বারণ করা হয়? জানুন
কী কী লক্ষণ দেখা গেলে সতর্ক হওয়া জরুরী!
- ঘন ঘন বা অস্বাভাবিক প্রস্রাব: খুব ঘন ঘন প্রস্রাব হওয়া বা প্রস্রাবের পরিমাণ হঠাৎ কমে যাওয়া।
- প্রস্রাবের রঙ পরিবর্তন: প্রস্রাবের রং গাঢ় হলুদ বা লালচে হওয়া (রক্তের উপস্থিতি)।
- ফোলাভাব: বিশেষ করে চোখ, মুখ, পা ও গোড়ালিতে অস্বাভাবিক ফোলাভাব দেখা দিলে সতর্ক হতে হবে। এটি কিডনির ফিল্টারিং ক্ষমতার দুর্বলতার লক্ষণ হতে পারে।
- পিঠে বা কোমরের নিচে ব্যথা: কিডনির অঞ্চলে, অর্থাৎ কোমরের নিচের দিকে একটানা বা অসহনীয় ব্যথা অনুভব করা।
- ক্লান্তি ও দুর্বলতা: ক্রমাগত অতিরিক্ত ক্লান্তি, দুর্বলতা বা মনোযোগের অভাব।







