নয়াদিল্লি: এই নিয়ে তিনবার লালকেল্লা সাক্ষী রইল বিস্ফোরণের। প্রায় এক দশক পর দিল্লি (Delhi Blast) তে জঙ্গি হামলা হয়েছে। যার অভিঘাতে ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন অনেকে। দিল্লির লালকেল্লা মেট্রো স্টেশনের (Lal Quila Metro Station) কাছে বিস্ফোরণের জায়গা থেকে মঙ্গলবার রাত পর্যন্ত ৪২টি নমুনা জোগাড় করেছেন ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা। তদন্তকারী সংস্থার একাংশ মনে করছে, দিল্লি ও ফরিদাবাদের দুই ঘটনার মধ্যে গভীর সম্পর্ক রয়েছে। বুধবার সকাল থেকেই দেশের বেশ কিছু জায়গায় তল্লাশি চালানো হচ্ছে। প্রশ্ন উঠছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের নাকের ডগায় এত বড় দুর্ঘটনা ঘটল কী ভাবে? অনেকেই এই ঘটনার দায় চাপাচ্ছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর উপর। বিরোধীরা সরাসরি তাঁর পদত্যাগ দাবি করছেন। এরই মধ্যে অমিত শাহ (Amit Shah) হামলায় জড়িতদের খুঁজে বের করতে দফায় দফায় বৈঠক করেছেন আধিকারিকদের সঙ্গে। যেভাবেই হোক খুঁজে বের করতে হবে দোষীদের।
দিল্লিতে বিস্ফোরণের তদন্তভার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে ইতিমধ্যেই তুলে দেওয়া হয়েছে এনআইএ-র হাতে। মঙ্গলবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ তাঁর বাসভবনে স্বরাষ্ট্রসচিব, আইবি ডিরেক্টর, এনআইএ-র ডিজি, দিল্লির পুলিশ কমিশনার-সহ (জম্মু ও কাশ্মীরের পুলিশকর্তা যোগ দিয়েছিলেন ভার্চুয়ালি) অন্যান্য আধিকারিকরাদের সঙ্গে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে বসেছিলেন। সেখান থেকে তিনি স্পষ্ট বার্তা দিয়ে বলেন, “দিল্লি বিস্ফোরণের প্রতিটি দোষীকে খুঁজে বের করতে হবে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেছেন, “যেখানেই লুকিয়ে থাকুক, খুঁজে বার করে চূড়ান্ত শাস্তি দিতে হবে।” একই সঙ্গে কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলিকেও সর্বশক্তি প্রয়োগ করতে নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন: দিল্লির ঘটনায় গাড়িচালকের মাকে ডিএনএ পরীক্ষার জন্য ডাকল পুলিশ!
আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠকের পর এক্স হ্যান্ডেলে অমিত শাহ লেখেন, “দিল্লির গাড়িবোমা বিস্ফোরণ নিয়ে রিভিউ মিটিংয়ের সভাপতিত্ব করলাম। শীর্ষ আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেছি। আধিকারিকদের এই ঘটনার নেপথ্যে জড়িত প্রত্যেক দোষীকে খুঁজে বার করার নির্দেশ দিয়েছি। তারা এ বার আমাদের তদন্তকারী সংস্থাগুলির ক্রোধের বহিঃপ্রকাশ দেখবে। দিল্লিতে বিস্ফোরণের ঘটনায় আরও এক ডাক্তারকে আটক করলেন তদন্তকারীরা। বুধবার সকালে দক্ষিণ কাশ্মীর থেকে ডাঃ তাজামুল আহমেদ মালিককে আটক করা হয়। তাজামুল কুলগামের বাসিন্দা। শ্রীনগরের এসএইচএমএস হাসপাতালে কর্মরত তিনি।
অন্য খবর দেখুন







