জলপাইগুড়ি : গড়ালবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের খান সাহেবপাড়া এলাকায় ১৭/১৮০ নম্বর বুথ ঘিরে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। অভিযোগ, এসআইআর ফর্ম জমা নেওয়ার সময় ভোটারদের হাতে যে রিসিভ কপি দেওয়া হচ্ছে, সেখানে জাল সই করা হচ্ছে। যিনি এই বুথের সরকারি ব্লক লেভেল অফিসার (BLO) আনজু আরা বেগম, তিনি বর্তমানে গুরুতর অসুস্থ থাকার কারণে হাসপাতালে ভর্তি। আর তাঁর অনুপস্থিতিতে তাঁর ১৭ বছর বয়সি নাবালক ফর্ম রিসিভ করা ও স্বাক্ষর দেওয়ার কাজ করছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
স্থানীয় বাসিন্দারা ক্ষোভ প্রকাশ করে জানিয়েছেন— একজন নাবালক সরকারি দায়িত্ব পালন করতে পারে না। অথচ ফর্ম নেওয়া ও সই করার মতো গুরুত্বপূর্ণ কাজ সে করে যাচ্ছে। ভবিষ্যতে কোনও সমস্যা হলে দায়িত্ব নেবে কে? স্থানীয়রা জানান, সরকারি কাজে অনুপস্থিতির ক্ষেত্রে নিয়ম অনুযায়ী অন্য একজন সরকারি কর্মীকে দায়িত্ব দেওয়া উচিত ছিল। নাবালকের মাধ্যমে কাজ করানো সম্পূর্ণ বেআইনি হওয়ায় তাঁরা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন।
আরও পড়ুন: বর্ধমানে চলল গুলি! কাউন্সিলর সহ আহত আরও অনেক
এলাকায় এসআইআর ফর্ম নিয়ে অনেক মানুষের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। ভোটারদের দাবি, ভুল রিসিভ বা জাল স্বাক্ষর থাকলে আবেদন বাতিল বা জটিলতা তৈরি হতে পারে। এই ঘটনায় এলাকার পঞ্চায়েত সদস্যও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেছেন— “বিএলও আনজু আরা বেগম বেশ কিছুদিন ধরে অসুস্থ। তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি রাখা হয়েছে। তার পরিবর্তে তাঁর ছেলে যে ফোন রিসিভ করছে বা ফর্ম নিয়ে কাজ করছে—বিষয়টি ঠিক নয়। আমি বিষয়টি ইতিমধ্যেই জেনেছি এবং খুব শীঘ্রই উচ্চ আধিকারিকদের জানাব।”
এখনও পর্যন্ত নির্বাচন দফতরের পক্ষ থেকে কোনও আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। তবে অভিযোগের জেরে এলাকাজুড়ে তীব্র ক্ষোভ ও উদ্বেগ ছড়িয়েছে।
দেখুন খবর:







