Monday, November 10, 2025
HomeBig newsরাত পোহালেই দ্বিতীয় দফার ভোট, প্রহর গুণছে বিহার
Bihar Assemble Election

রাত পোহালেই দ্বিতীয় দফার ভোট, প্রহর গুণছে বিহার

২০ জেলার  ১২২-টি আসনে ভোটগ্রহণ

ওয়েবডেস্ক- রাত পোহালেই বিহারে (Bihar Assemble Election) দ্বিতীয় দফার (Second Phase) ভোট। ১১ নভেম্বর মঙ্গলবার ২০-টি জেলার  ১২২-টি আসনে ভোটগ্রহণ। ৭ কোটি ৪৩ লক্ষের বেশি ভোটারের জন্য ৯০ হাজার ৭১২-টি ভোট কেন্দ্র খোলা হয়েছে। গণনা ১৪  নভেম্বর। মোট প্রার্থীর সংখ্যা ১৩০২। তার মধ্যে ১৩৬ জন মহিলা প্রার্থী। ১৩০২ জন প্রার্থীর ভাগ্য নির্ধারণ করবে ৩ কোটি ৭০ লক্ষ ভোটার। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১.৯৫ কোটি। মহিলা ভোটার ১.৭৪ কোটি।

আগামীকাল ২০ জেলায় সকাল সাতটা থেকেই শুরু হবে ভোটগ্রহণ (Voting)। ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি)-জনতা দল (ইউনাইটেড)-এর নেতৃত্বাধীন জাতীয় গণতান্ত্রিক জোট (এনডিএ), রাষ্ট্রীয় জনতা দল (আরজেডি)-কংগ্রেস-এর নেতৃত্বাধীন মহাগঠবন্ধনের মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

ভোটদান প্রক্রিয়া নির্বিঘ্নে সম্পন্ন করতে তৎপর নির্বাচন কমিশন (Election Commission) । প্রথম দফার নির্বাচন ছিল গত ৬ নভেম্বর। ১৮ জেলায় ১২১ আসনে ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয় নির্বিঘ্নে। প্রথম দফার ভোটে বিপুল ভোটদানে নজির সৃষ্টি করেছে বিহার। কমিশনের তথ্য অনুসারে, বিহার বিধানসভা নির্বাচনের ইতিহাসে এবার ভোটদানের হার সর্বোচ্চ, ৬৪.৬ শতাংশ। বেগুসরাইতে সর্বোচ্চ ৬৭.৩২% ভোট পড়েছে, যেখানে শেখপুরায় সর্বনিম্ন ৫২.৩৬% ভোট পড়েছে।

দ্বিতীয় দফার ভোটে যে কেন্দ্রগুলির দিকে নজর থাকবে- ঐতিহ্যগতভাবে বিজেপি তিরহুত, সরণ এবং উত্তর মিথিলাঞ্চল অঞ্চলে আধিপত্য বিস্তার করে রেখেছে এর মধ্যে রয়েছে পূর্ব চম্পারণ, পশ্চিম চম্পারণ, শেওহর, সীতামারহি এবং সরণ জেলা। ক্রমশ হারাচ্ছে জেডিইউ, ভাগলপুর এলাকায় তাদের শক্তিশালী উপস্থিতি রয়েছে। অন্যদিকে, মহাজোটবন্ধনের মগধ অঞ্চলে একটি প্রভাবশালী ঘাঁটি রয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে গয়া, আওরঙ্গবাদ, নওয়াদা, জেহানাবাদ এবং আরওয়াল জেলা। এই অঞ্চলে কংগ্রেসের তেমন কোনও প্রভাব নেই এবং তারা মূলত তাদের মিত্রদের উপর নির্ভর করে।

আরও পড়ুন-  কর্মসংস্থান ইস্যুতে মোদি, নীতীশকে নিশানা! বিরাট মন্তব্য রাহুল গান্ধীর

এদিকে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ ভোটগ্রহণের জন্য ভারতের নির্বাচন কমিশন কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। রাজ্যজুড়ে সিআরপিএফ, বিএসএফ, সিআইএসএফ, আইটিবিপি এবং এসএসবি সহ কেন্দ্রীয় সশস্ত্র পুলিশ বাহিনীর ৫০০ টিরও বেশি কোম্পানি মোতায়েন করা হয়েছে। প্রতিটি নির্বাচনী এলাকায় ভোটদান কার্যক্রম তদারকি করার জন্য একজন পর্যবেক্ষকও নিযুক্ত থাকবেন। স্বচ্ছতা নিশ্চিত করার জন্য সমস্ত ভোটকেন্দ্র থেকে ওয়েবকাস্টিং করা হচ্ছে এবং ভোটারদের তাদের স্মার্টফোন ভোটকেন্দ্রের বাইরে রাখতে হবে। ভোটার পরিচয় হিসেবে যেমন EPIC ভোটার কার্ড, আধার কার্ড, অথবা পাসপোর্ট ব্যবহার করা যেতে পারে। সুপ্রিম কোর্ট রায় দিয়েছে যে আধার পরিচয় প্রমাণ হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে, যদিও নাগরিকত্বের প্রমাণ হিসেবে নয়।

দেখুন আরও খবর-

Read More

Latest News