দিল্লি: সামনেই দীপাবলি। গত কয়েক বছর ধরে দূষণের মাত্রা বৃদ্ধির জন্য দীপাবলির সময়ে বাজি ফাটানো একটা বড় আলোচনার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। এর মধ্যে শুক্রবার সুপ্রিম কোর্ট প্রশ্ন তুলল, শুধুমাত্র দিল্লিতেই কেন বাজি নিষিদ্ধ করা হবে, দূষণের সম্মুখীন হওয়া অন্যান্য শহরগুলিতে কেন করা হবে না? চলতি বছরের ৩ এপ্রিল শীর্ষ আদালতের দেওয়া নির্দেশ যে দিল্লি রাজধানী এলাকায় বাজি বিক্রি, সংরক্ষণ, পরিবহন এবং উৎপাদন নিষিদ্ধ করতে হবে। এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে করা এক আবেদনের শুনানির সময়ে শুক্রবার এই প্রশ্ন তুলেছেন প্রধান বিচারপতি গাভাই ও বিচারপতি বিনোক কে চন্দ্রনের বেঞ্চ। সুপ্রিম কোর্টের দাবি শুধু দিল্লি নয়, সারা দেশেই নিষিদ্ধ হওয়া উচিত শব্দবাজি।
দিল্লি-এনসিআর অঞ্চলে বাজি বিক্রি, সংরক্ষণ, পরিবহণ এবং উৎপাদন নিষিদ্ধ করার নির্দেশ দেয় দিল্লি হাই কোর্ট। ৩ এপ্রিলের সেই নির্দেশের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন বাজি নির্মাতারা। তাঁদের দাবি, এই শিল্পের সঙ্গে অনেক পরিবার জড়িত যাদের উপর এই সিদ্ধান্ত প্রভাব ফেলছে। এদিন সেই মামলার শুনানির সময়ই শীর্ষ আদালত এই মন্তব্য করে। প্রধান বিচারপতি বিআর গাভাই বলেন, “যদি দেশের রাজধানী অঞ্চলের শহরগুলির দূষণমুক্ত বাতাসের অধিকার থাকে, তাহলে অন্যান্য শহরের মানুষের কেন থাকবে না? যে নীতিই থাকুক না কেন, তা সর্বভারতীয় স্তরে হওয়া উচিত। আমরা কেবল দিল্লির জন্য নীতি তৈরি করতে পারি না।”
আরও পড়ুন: ‘দাগী’ প্রার্থীর আবেদন খারিজ, এসএসসিকে বার্তা সুপ্রিম কোর্টের
প্রধান বিচারপতি বিআর গাভাইয়ের পর্যবেক্ষণ, ‘যদি বিশুদ্ধ বাতাসে নিঃশ্বাস নেওয়া রাজধানীর নাগরিকদের অধিকার হয়ে থাকে, তা হলে অন্যান্য শহরের মানুষ কেন এই অধিকার পাবেন না?’ ২২ সেপ্টেম্বর এই মামলার পরবর্তী শুনানিতে এই রিপোর্ট জমা দিতে হবে।
এদিন শুনানির সময়ে বেঞ্চ আরও পর্যবেক্ষণ করেছে, ‘সংবিধানের ২১ নম্বর অনুচ্ছেদের একটি অপরিহার্য অংশ স্বাস্থ্যের অধিকার। তাই দূষণমুক্ত পরিবেশও নাগরিকদের মৌলিক অধিকার।’বেঞ্চ জানিয়েছে, তথাকথিত সবুজ বাজির কারণে ন্যূনতম দূষণ হয় বলে আদালত সন্তুষ্ট হতে না পারলে, এর আগে যে সকল বাজি নিষিদ্ধের আদেশ দেওয়া হয়েছিল, তা পুনর্বিবেচনা করার প্রশ্নই উঠবে না।
দেখুন খবর: