ওয়েব ডেস্ক: রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে (Russia-Ukraine War) এবার গেম চেঞ্জার-এর ভূমিকায় অবতীর্ণ হল ভারতের অত্যাধুনিক মিসাইল। ইউক্রেনের পক্ষ থেকে সম্প্রতি রাশিয়ার একাধিক গুরুত্বপূর্ণ এয়ারবেস ও অন্যান্য স্থানে ইউরোপ ও আমেরিকান মিসাইল ধ্বংসলীলা চালিয়েছে। ইউক্রেনের আঘাতে তৈরি হওয়া ঘা কোনও ভাবেই শুকাচ্ছে না রাশিয়ার গা থেকে। ঠিক সেই সময়েই, ভারতের একসময় বিপদের দিনের বন্ধু রাশিয়ার পাশে সমস্ত শক্তি নিয়ে দাঁড়ানোর নিদর্শন রাখল ভারত ও রাশিয়ার যৌথ প্রযুক্তিগত কৌশলের মাধ্যমে তৈরি ব্রহ্মস ক্ষেপণাস্ত্র (Brahmos Missile)।
সুপারসনিক এই ক্রুজ মিসাইল প্রায় 5 mac গতিসম্পন্ন হওয়ার কারণে ও নির্ভুল টার্গেটে আঘাত হানার সক্ষমতার জন্য বিশ্বের তাবর তাবড় দেশের সেনার ঘুম কেড়ে নিয়েছে। এই ব্রহ্মস মিসাইল এবার ভারত রাশিয়ার হাতে তুলে দেওয়ার কারণে, গত কয়েকদিনের রাশিয়ার পক্ষ থেকে ইউক্রেনের উপর হামলায় কার্যত ইউক্রেনের একাধিক অংশ ছারখার হয়ে গেছে। পালাবার পথ পাচ্ছে না ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলোদিমির জেলেনস্কি (Volodymyr Zelenksyy) থেকে শুরু করে তার সেনাবাহিনী।
আরও পড়ুন: এবার ইরান-আমেরিকা যুদ্ধ? আসন্ন তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ?
ইউক্রেনের (Ukraine) যে সমস্ত অংশে এই ব্রহ্মসের দ্বারা আঘাত করা হয়েছে কার্যত সেই সব স্থান ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। ব্রহ্মসের কার্যকারিতা ও ধ্বংসলীলার খবর ইতিমধ্যেই ছড়িয়ে পড়েছে ইউরোপ ও আমেরিকার সরকারি রিপোর্ট থেকে শুরু করে সংবাদমাধ্যমে। আমেরিকা ও ইউরোপের কাছে অপারেশন সিঁদুর চলাকালীন যেভাবে পাকিস্তানের বিভিন্ন এয়ারবেস ও স্ট্র্যাটেজিক স্থানে আঘাত করা থেকে শুরু করে ধ্বংসলীলা চালিয়েছে তাও প্রত্যক্ষ করেছে তারা।
ভারতের প্রতিরক্ষা বিভাগের এই দ্রুত প্রযুক্তিগত উন্নতি ভালো চোখে দেখছে না ইউরোপ ও আমেরিকা। আমেরিকা ইতিমধ্যেই উঠে পড়ে লেগেছে ব্রহ্মসের এই বাড়বাড়ন্ত রোখার জন্য। যদিও এই মুহূর্তে সেটি আর সম্ভব নয় বলেও বুঝে গেছে পাশ্চাত্যের দেশগুলি। কারণ ইতিমধ্যেই ভারত ব্রহ্মস ২ নিয়ে কাজ শুরু করে ফেলেছে। পাশাপাশি ব্রহ্মস হাইপারসনিক ভার্সন নিয়েও প্রায় লক্ষ্যে পৌঁছে গিয়েছে ভারত। ফলে ইতিমধ্যে ব্রহ্মসের যে সমস্ত ভার্সন প্রতিপক্ষকে ধ্বংস করতে সক্ষমতা দেখিয়েছে বা পরীক্ষিত হয়ে উঠেছে, তার থেকে কয়েকগুণ বেশি শক্তিশালী ও উন্নত ভার্সন ইতিমধ্যেই ভারতের সেনাবাহিনীর হাতে চলে এসেছে। যার ক্ষমতা ও ধ্বংসলীলার পরিমাণ দ্বিগুণের থেকে বেশি।
ভারত ও রাশিয়ার যৌথ উদ্যোগে তৈরি এই ভয়ংকর মিসাইলটির উন্নত সংস্করণের লক্ষ্যে ভারতের বিজ্ঞানীরা যে প্রযুক্তিগত পরিবর্তন ঘটিয়েছেন তাতে এই মিসাইলটির গতিবিধি ও ক্রিয়াকলাপ বুঝতে ব্যর্থ হচ্ছে বিশ্বের তাবড় তাবড় দেশের উন্নত প্রযুক্তিসম্পন্ন রেডার। শুধুমাত্র ইউরোপ, আমেরিকা বা পাকিস্তানই নয়, চীনও এবার হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছে, যদি ঝগড়া বাধাতে গিয়ে ব্রহ্মস এবার তাদের দিকে টার্গেট করে ভারত।
দেখুন অন্য খবর: