ওয়েব ডেস্ক: বেঙ্গালুরু, কলকাতা, বীরভূমের পর এবার কেরলের (Kearala) এর্নাকুলাম। একই পরিবারের তিনজনের মৃতদেহ উদ্ধার হল বাড়ি থেকে। জিএসটির (GST) একজন উচ্চ পর্যায়ের আধিকারিক মণীশ বিজয়, তাঁর বোন ও মায়ের মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়াল। ঘর থেকে সুইসাইড নোট উদ্ধার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার ওই ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, সপরিবারে আত্মঘাতী হয়েছেন অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার পদ মর্যাদার ওই আধিকারিক। তাঁকে ও তাঁর বোন শালিনীকে আলাদা ঘরে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। বিছানায় পড়েছিল তাঁর মায়ের দেহ। আদতে ঝাড়খণ্ডের বাসিন্দা তাঁরা। কাক্কানাড কাস্টম কোয়ার্টারে থাকতেন। শালিনীদেবী ২০০৬ সালে ঝাড়খণ্ড পাবলিক সার্ভিস কমিশনের পরীক্ষায় প্রথম হয়েছিলেন। ডেপুটি কালেক্টর পদে কাজে যোগ দেন। পরে চাকরি থেকে বরখাস্ত হন তিনি। তাঁর ব়্যাঙ্ক নিয়ে সিবিআই তদন্ত চলছে।
চার দিনের ছুটির পরও ওই আধিকারিক অফিসে আসেননি। অফিসের এক সহকর্মী তাঁর বাড়িতে খোঁজ নিতে যান। তিনি দুর্গন্ধ পান। খবর দেওয়া হয় পুলিশকে। কোচির পুলিশ কমিশনার পুট্টা বিমলাদিত্য বলেন, কয়েকদিনে আগেই মৃত্যু হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে। মৃতদেহগুলিতে পচন ধরেছে। ফরেনসিক পরীক্ষার পরই নিশ্চিত হওয়া যাবে কখন তাঁদের মৃত্যু হয়েছে। উদ্ধার হওয়া ডায়েরিতে একটি নোট লেখা ছিল, তাঁদের এক বোন বিদেশে থাকেন। তাঁকে এই মৃত্যুর খবর যেন জানানো হয়।
আরও পড়ুন: পরীক্ষায় টুকতে না দেওয়ায় বচসা, চলল গুলি, মৃত্যু এক ছাত্রের
এর আগে কোঝিকোড় বিমানবন্দরে শুল্কবিভাগে কর্মরত ছিলেন মণীশ। একবছর আগে তিনি কোচিতে আসেন। পরে সেখানে আসেন তাঁর মা ও বোন। বিদেশ থেকে বোন ফিরলে দেহের ময়নাতদন্ত হবে।
দেখুন অন্য খবর: