ওয়েব ডেস্ক: বিশ্বমঞ্চে আমাদের দেশের ঐতিহ্যের অন্যতম পরিচয় মায়েদের শাড়ি (Saree)। বিশেষ করে বাংলার শাড়ির সুখ্যাতি জগতজোড়া। বালুচরি, জামদানি-তাঁত বাংলার গর্ব। আধুনিক পশ্চিমী পোশাকের প্রভাবের মধ্যেও এখনও শাড়িই বেশিরভাগ মহিলাদের প্রধান ভরসা। বাংলার শাড়ির কি বিশ্বায়নে এবার বড় কিছু হতে চলেছে? বিশ্ব বঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনের (BGBS) মঞ্চে বুধবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) বলেন, ‘বাংলার শাড়িকে বিশ্বমঞ্চে তুলে ধরবে রিলায়েন্স’ (Relainace)। ফলে দেশের সব থেকে বড় কর্পোরেট সংস্থা বাংলার শাড়ি বাণিজ্যিকিকরণের উদ্যোগ নেবে। এ কথা শুনে হাসি ফুটেছে বাংলার প্রত্যন্ত এলাকায় শাড়ির সঙ্গে জড়িয়ে থাকা শিল্পীদের মধ্যেও।
সরু নীল পাড় দেওয়া সাদামাটা সাদা শাড়িতে ৪০টি দেশের প্রতিনিধিদের সামনে একথা ঘোষণা করেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। এই ঘোষণায় আশার আলো দেখছেন শাড়ি শিল্পের সঙ্গে জড়িত অনেকেই। মনে করা হচ্ছে, এর ফলে নতুন দিশা দেখতে পাবে বাংলার বস্ত্রশিল্প। বহুজাতিক সংস্থা, কর্পোরেট মোড়কে এই বিষয়ে কী উদ্যোগ নেবে, কবে থেকে হবে তা নিয়ে এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত কিছু জানা যায়নি। এদিন বক্তব্যে মুখ্যমন্ত্রী আরও জানান, নারীর ক্ষমতায়নে বাংলা এক নম্বরে। আম্বানি পরিবারকে ধন্যবাদ। জিও-র গেটওয়ে হবে কলকাতা। দিঘায় জিও-র বিশেষ উদ্যোগের কথাও জানান মুখ্যমন্ত্রী। রিলায়েন্স কর্তা মুকেশ আম্বানিও রাজ্যে শিল্পের সম্ভাবনা নিয়ে আশা প্রকাশ করেন। তিনি জানান, পূর্ব ভারতের ডিজিটাল হাব হবে কলকাতা। সোনার বাংলা সোলার বাংলা হবে। এদিন আম্বানি গোষ্ঠীর কর্ণধার জানান, বাংলায় ৫০ হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগ করবেন।
আরও পড়ুন: বাংলায় বসতি হোক বাণিজ্যের, অষ্টম বিজিবিএসের সূচনা মুখ্যমন্ত্রীর
শাড়ির ইতিহাস হাজার বছরেরও পুরনো। সিন্ধু সভ্যতাতেও শাড়ির অস্তিত্ব পাওয়া যায়। শাড়ি নিয়ে ডিজাইনাররা নিত্যনতুন পরীক্ষা করে চলেছে। কানের রেড কার্পেটে অভিনেত্রীর শাড়ি পরে হাঁটা থেকে বিশ্বমঞ্চে নানা অনুষ্ঠানে শাড়ির জয়ধ্বনি দেখা গিয়েছে। তবে আধুনিক যে পোশাকই আসুক বিয়ের মতো অনুষ্ঠানে এখনও শাড়ির কোনও বিকল্প হয়নি। শাড়ি সভ্যতা ভারতীয় মহিলাদের সৌন্দর্যের প্রতীক।
দেখুন অন্য খবর: