ওয়েব ডেস্ক: তামিলনাড়ুর সমুদ্র সৈকত থেকে বেআইনিভাবে উত্তোলন করা হচ্ছে বিপুল পরিমাণ বালি। আর এই অভিযোগ সামনে আসার পরেই এই ঘটনায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিল মাদ্রাজা হাইকোর্ট। জানা যাচ্ছে কম করে ৫৮৩২ কোটি টাকার রাজস্ব ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে। পাশাপাশি ঘটনায় রাজনৈতিক যোগাযোগের সম্ভাবনা একেবারেই উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না বলে অভিমত আদালতের।
মাইনিং লিজ বা অনুমোদন ছাড়াই বেআইনিভাবে বালি উত্তোলনের জন্য লিজ প্রদান, উপযুক্ত নজরদারির অভাব, যেমন খুশি রয়্যালটি নির্ধারণ, যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণে অনিহা ইত্যাদি অজস্র অভিযোগ আদালতের। ফলে রাজনীতিবিদ, আমলাতন্ত্র এবং বেসরকারি বালি উত্তোলন সংস্থাগুলির মধ্যে অবৈধ বোঝাপড়া থাকার প্রভুত সম্ভবনা। অভিমত আদালতের।
আরও পড়ুন: “চীন আমাদের শত্রু নয়”, দাবি বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতার
বিষয়টির সঙ্গে দেশের সামগ্রিক নিরাপত্তা জড়িত বলেই এই ক্ষেত্রে বহুমুখী শৃঙ্খলাভঙ্গের তদন্ত প্রয়োজন। বিপুল অর্থের দুর্নীতি হয়েছে বলেই এক্ষেত্রে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট ছাড়াও আয়কর দপ্তর, কাস্টমস ও এক্সাইজ দপ্তর এবং কমার্শিয়াল ট্যাক্সেস দপ্তরসহ অন্যান্য দপ্তর দ্বারাও তদন্তের প্রয়োজন আছে কিনা তা কেন্দ্রীয় সরকার ও রাজ্য বিবেচনা করে পদক্ষেপ করুক। এছাড়া এই দুর্নীতিতে যুক্ত সরকারি অফিসারদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত শুরু করুক কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার। অভিমতসহ নির্দেশ আদালতের।
উল্লেখ্য, ২০০০-০১ থেকে শুরু করে ২০১৬-১৭ সাল পর্যন্ত থুতুকুড়ি, তিরুনেলভেলি এবং কন্যাকুমারী জেলায় ব্যাপক হারে বালি ও অন্যান্য খনিজ সম্পদ সমুদ্র সৈকত থেকে চুরির অভিযোগে ২০১৫ সালে জনস্বার্থ মামলা। চুরি হওয়া খনিজ সম্পদের মধ্যে মোনাজাইটের মতো খনিজ রয়েছে। যা দেশের পরমাণু নীতির সূত্রে বেআইনিভাবে সংগ্রহ করা নিষিদ্ধ। তামিলনাড়ু সরকার বিষয়টির তদন্তে বিশেষ তদন্তকারী দল গঠন করলেও সমস্যার সমাধান হয়নি বলে অভিযোগ।
দেখুন অন্য খবর