Wednesday, October 8, 2025
HomeScrollউত্তেজনাবর্ধক ওষুধ খাইয়ে নবম শ্রেণির ছাত্রীকে গণধর্ষণ
Baruipur

উত্তেজনাবর্ধক ওষুধ খাইয়ে নবম শ্রেণির ছাত্রীকে গণধর্ষণ

প্রেমিক-সহ দু’জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ, পলাতক ১

বারুইপুর: নবম শ্রেণীর ছাত্রীকে উত্তেজনা বর্ধক ওষুধ খাইযে গণধর্ষণ (Physically Abuse) অভিযোগ। পড়ুয়ার পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে তার প্রেমিক-সহ দু’জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পলাতক বাকি এক জনের সন্ধানে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন নির্যাতিতা। দক্ষিণ ২৪ পরগনা বারুইপুরের (Baruipur) ঘটনা। মহাষ্টমীর রাতে ঠাকুর দেখতে বেরিয়ে অভিযুক্তের প্রেমিক ও তার দুই বন্ধুর দ্বারা গণধর্ষণের শিকার হয় নবম শ্রেণীর ওই ছাত্রী।

পুলিশ সূত্রের খবর, গত ৩০ সেপ্টেম্বর মহাষ্টমীর রাতে প্রেমিকের সঙ্গে ঠাকুর দেখতে বার হয়েছিল স্কুলছাত্রী। রাত আটটা নাগাদ বারুইপুর শাসন বালক সংঘের ঠাকুর দেখে বেরিয়ে বারুইপুর কামালগাজি বাইপাসে আসে নির্যাতিতা নবম শ্রেণীর ছাত্রী। মাস দেরেক আগেই বারুইপুরের এক নাবালকের সঙ্গে সোশ্যাল মিডিয়াতে আলাপ হয় নির্যাতিতা নবম শ্রেণীর ছাত্রীর। তারপর একে অপরের নাম্বার দেওয়া নেওয়া। আর তারপর ফোনেই প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠা। সেই সম্পর্কের ভরসাতে অষ্টমির রাতে বারুইপুর বাইপাস থেকে প্রেমিকের বাইকে ওঠে নির্যাতিতা ঠাকুর দেখবে বলে। তখন প্রেমিক ছাড়াও আরও একটি বাইকে প্রেমিকের দুজন বন্ধু ছিল। বারুইপুর শাসন বাইপাস থেকে সোজা বাইকে করে নির্যাতিতাকে বারুইপুর পূর্ব বিধানসভার বেগমপুর কাটাখাল বাইপাশে নিয়ে যায় তার প্রেমিক। সেখানে নির্যাতিতাকে কোল্ড ড্রিংকসের সঙ্গে উত্তেজনা বর্ধনকারী ট্যাবলেট খাওয়ানো হয় বলে অভিযোগ। তারপর বেগমপুর কাটাখাল বাইপাস থেকে উত্তরভাগে যাওয়ার রাস্তা থেকে ভেতরের একটি নির্জন গলি রাস্তাতে ঢুকে নির্যাতিতাকে ধর্ষণ করে তার প্রেমিক। এমনই অভিযোগ নির্যাতিতার পরিবারের।

আরও পড়ুন: উওরবঙ্গে বিজেপি নেতারা মার খেলেন কেন? দলেই উঠছে প্রশ্ন

‘নির্যাতিতা’র কাছ থেকে জানা গিয়েছে, নির্যাতনের সময়কার ভিডিও তুলে ছাত্রীকে ব্ল্যাকমেল করা আবার হয়। ওই ভিডিও দিয়ে নির্যাতিতা নাবালিকাকে ব্ল্যাকমেইল করে প্রেমিকের দুই বন্ধুও ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ। তারপর রাতেই নির্যাতিতা নাবালিকাকে সীতাকুণ্ডুর কাছে তার আত্মীয়ের বাড়ির কাছে রেখে দিয়ে চলে যায় প্রেমিক। পয়লা অক্টোবর নবমীর সকাল থেকেই অসুস্থ হয়ে পড়েন নির্যাতিতা। পরিবারের লোকজনকে খবর দেয় তার আত্মীয়রা। নবমীর দুপুরে নির্যাতিতাকে বারুইপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করে তার পরিবারের লোকজন।

নির্যাতিতার পরিবার বারুইপুর থানায় ২ অক্টোবর অভিযোগ দায়ের করে। ৩ অক্টোবর ওই নাবালক প্রেমিককে গ্রেফতার করে বারুইপুর থানার পুলিশ। তাকে জিজ্ঞাসা করে ৪ তারিখে তার এক বন্ধু আরমান আকুঞ্জকে গ্রেফতার করে বারুইপুর থানার পুলিশ। এখনও অধরা তিন নম্বর অভিযুক্ত। নাবালক প্রেমিককে জুভেনাইল আদালতে তোলে বারুইপুর থানার পুলিশ। পাশাপাশি নাবালক প্রেমিকের বন্ধু আরমান আকুঞ্জকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে জেরা করে তৃতীয় অভিযুক্তকে ধরার চেষ্টা চালাচ্ছে বারুইপুর থানার পুলিশ। নির্যাতিতা নবম শ্রেণীর ছাত্রী এখনো বারুইপুর মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।।

অন্য খবর দেখুন

Read More

Latest News