ওয়েবডেস্ক- জয়পুরে (Jaipur) নিজের স্কুলের বারান্দা থেকে পড়ে মৃত্যু ৯ বছরের ছাত্রীর। জয়পুরের এই ঘটনায় রহস্য! নিজের স্কুলের বারান্দা থেকে কীভাবে এক ৯ বছরের বালিকা কীভাবে এই কাণ্ড ঘটাতে পারল তা নিয়ে চাপানউতোর তৈরি হয়েছে।
প্রাথমিকভাবে এই ঘটনাকে রহস্য মৃত্যু বলে মনে করা হচ্ছে! তবে বেশ কিছু প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে! এত ছোট একটি মেয়ে এই কাণ্ড ঘটাবে কেন? তদন্তকারীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে দেখেন সেখানে ছাত্রীর দেহ পড়েছিল, তা পরিষ্কার করে দেওয়া হয়েছে। আর এখান থেকে ঘনাচ্ছে রহস্য। প্রশ্ন উঠেছে তবে কী প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা।
সিসিটিভি ফুটেজে (CCTV Footage) দেখা গেছে, চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রীটি (Fourth grade student) বারান্দার রেলিংয়ে গিয়ে বসছে। তার পর সে পড়ে যাচ্ছে সেখান থেকে। জানা গেছে, মেয়েটির পড়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তাকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যায় স্কুল কর্তৃপক্ষ। চিকিৎসকেরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করে। মৃতা বালিকা নীরজা মোদি (Neerja Modi) স্কুলের ছাত্রী।
পুলিশ অফিসাররা স্কুলে পৌঁছে দেখেন ঘটনাস্থলের রক্তের দাগ নেই। সব মুছে দেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যেই স্কুল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে এফআইআর করেছে মৃত বালিকার পরিবার। মৃতার পরিবারের দাবি স্কুলের শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীদের ভূমিকা খতিয়ে দেখা হোক। কী করে স্কুলের ভিতরে এই ধরনের ঘটনা ঘটতে পারে, সেই নিয়ে স্কুল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ তুলেছেন তারা। রক্তের দাগই বা মুছে দেওয়া হল? তবে এই সমস্ত প্রশ্নের জবাবে, স্কুল কর্তৃপক্ষ নীরব।
আরও পড়ুন- ২০০২- তালিকায় বাবা-মায়ের নাম! দেশ থেকে বিতাড়িত সন্তান সহ দম্পতি
বাবা-মায়ের একমাত্র সন্তান ছিল মেয়েটি। মা কাজ করতেন ব্যাঙ্কে। বাবা বেসরকারি অফিসে কর্মরত। ময়নাতদন্তের পরই এফআইআর করেন তাঁরা। পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
শিক্ষামন্ত্রী মদন দিলওয়ার (Education Minister Madan Dilwar) এই ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে রবিবার বলেন, একটা নিষ্পাপ মেয়ে এইভাবে চলে গেল, যেটা খুব দুঃখজনক। আমরা বিষয়টি তদন্তের নির্দেশ দিয়েছি। এদিকে রাজ্য সরকার কর্তৃক তদন্তের জন্য শিক্ষা বিভাগের ছয়জনের একটি দলকে পাঠানো হয়। কিন্তু তাদের স্কুল কর্তৃপক্ষ তাদের ভিতরে ঢুকতে দেয়নি।
জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা রাম নিবাস শর্মা বলেছেন যে কর্তৃপক্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে সহযোগিতা করতে চায়নি। স্কুল অধ্যক্ষ ও স্কুলের কোনও প্রতিনিধি তাদের সঙ্গে দেখা করেননি। স্কুলের প্রধান ফটক বন্ধ করে রাখা হয়েছে। দরজা খুলতে বললেও স্কুলের কোনও কর্মী দরজা খুলছে না।
এদিকে রাজস্থানের জয়েন্ট প্যারেন্টস অ্যাসোসিয়েশন অভিযোগ, একজন শিক্ষকের দ্বারা হয়রানির শিকার হয়ে আমিরা আত্মহত্যা করেছে।
দেখুন ভিডিও-







