ওয়েব ডেস্ক : আবার নতুন যুদ্ধ শুরু হতে চলেছে বিশ্বে। এবার সংঘাতে জড়াতে চলেছে আমেরিকা (America) ও ভেনেজুয়েলা (Venezuela)। জানা যাচ্ছে, ইতিমধ্যে দুই দেশের তরফে অস্ত্র ও সামরিক সরঞ্জাম মোতায়েন করা হয়েছে। সূত্রের খবর, আমেরিকার তরফে যুদ্ধ জাহাজ ইউএসএস জোরাল্ড আর ফোর্ডকে মোতায়েন করা হয়েছে। অন্যদিকে ভেনেজুয়েলার তরফে পাঁচ হাজার রুশ-নির্মিত ‘ইগলা-এস’ ক্ষেপনাস্ত্র প্রস্তুত করা হয়েছে। ফলে পরিস্থিতি আরও ঘনিয়ে উঠেছে বলে জানা যাচ্ছে।
সূত্রের খবর, ভেনেজুয়েলার (Venezuela) প্রেসিডেন্টকে বার বার হুঁশিয়ারি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে। সবরকম কৌশলে ভেনেজুয়েলার উপর চাপ তৈরির চেষ্টা চালানো হচ্ছে বলে অভিযোগ। আমেরিকার এই চাপের মুখে এবার রাশিয়াও (Russia) মাঠে নেমেছে বলে জানা যাচ্ছে। যার ফলে ওয়াশিংটনের কপালে ভাঁজ পড়েছে।
আরও খবর : প্রতারণার অভিযোগ উঠল বঙ্কিম ব্রহ্মভাট-এর বিরুদ্ধে!
সূত্রের খবর, রাশিয়ার (Russia) তরফে ভেনেজুয়েলাকে (Venezuela) সামরিক সাহায্য পাঠানো হচ্ছে। সম্প্রতি মস্কো থেকে একটি সামরিক পরিবহণ বিমান ভেনেজুয়েলার রাজধানী কারাকাসে আসে। বিমানটি কারাকাসে ৪৫ ঘন্টা ছিল বলে খবর। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এটি শুধু জ্বালানি ভরার জন্য অস্বাভাবিক দীর্ঘ সময় নয় বরং এই সময়কালে সামরিক সরঞ্জাম স্থানান্তর করা হয়েছে। এই সম্পর্কে কোনও তথ্য না থাকলেও, অনুমান করা হচ্ছে বিভিন্ন ধরণের ক্ষেপনাস্ত্র দেওয়া হয়েছে ভেনেজুয়েলাকে।
প্রসঙ্গত, কিছু সময় ধরে ক্যারিবিয়ান সাগরে মার্কিন সামরিক বাহিনীর উপস্থিতি দেখা গিয়েছে। সেখানে একাধিক মাদক বিরোধী অভিযান চালানো হয়েছে। সূত্রের খবর, এমন পরিস্থিতিতে প্রেসিডেন্ট মাদুরো তার সামরিক সক্ষমতা বাড়ানোর জন্য রাশিয়া, চীন এবং ইরানের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন। ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট অক্টোবরে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে সাহায্যের জন্য একটি লিখিত আবেদন পাঠান বলে সূত্রের খবর। এমন পরিস্থিতিতে উদ্বেগ বেড়েছে আমেরিকারও। তবে সম্প্রতি মার্কিন প্রেসিডেন্ট জানিয়েছিলেন, ভেনেজুয়েলায় আক্রমণের জন্য তাদের কোনও পরিকল্পনা নেই। কিন্তু যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে তাতে কি বিশ্বে আরও একটি নতুন সংঘর্ষ হতে চলেছে?
দেখুন অন্য খবর :






