ওয়েবডেস্ক- বধূ খুনের ১২ বছর সাজা ঘোষণা করল বনগাঁ আদালত (Bangaon Court) । যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের (Life imprisonment) নির্দেশ দিলেন বিচারক। তবে স্বামী মানসিক ভারসাম্যহীন বলে তার সাজা আপাতত স্তগিত রাখা হয়েছে।
জানা গেছে, এক নারকীয় ঘটে যায় উত্তর ২৪ পরগনার (North 24 Pargana) বনগাঁয়। বধূকে শ্বাসরোধ করে খুন করে দেহ লুকিয়ে রাখা হয়। মাংস-ভাত দিয়ে সেই ফিস্ট করেছিল পরিবার। বিচার পেয়ে খুশি গৃহবধূর বাপের বাড়ির পরিবার।
গৃহবধূকে শ্বাসরোধ করে খুনের অভিযোগে তাঁর শ্বশুর, শাশুড়ি ও ননদকে যাবজ্জীবন সাজা শোনাল বনগাঁ মহকুম আদালত৷ মৃতার নাম নুপূর দত্ত। ২০১৩ সালে এমনই এক অমানবিক, নারকীয় ঘটে যায় বনগাঁর মোস্তাফী পাড়ায়। নুপুরকে খুন করে দেহ খাটেরতলায় রেখে মাংস ভাত খেয়েছিল স্বামী, শ্বশুর, শাশুড়ি ও ননদ। গোটা ঘটনায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। মৃত বধূর সন্তানের কান্না শুনে প্রতিবেশীরা বাড়িতে ঢুকে এই নারকীয় ঘটনার হদিশ পায়। খবর দেওয়া হয় বনগাঁ থানায়। পুলিশ ওই বধূর মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়। গ্রেফতার করা হয় ওই চারজনকে।
আরও পড়ুন- বিএসএফ জওয়ানকে অপহরণ বাংলাদেশিদের! চাঞ্চল্য কোচবিহারে
বনগাঁ আদালতে মামলা শুরু হয়। ১২ বছর পর রায় ঘোষণা হল। শ্বশুর, শাশুড়ি ও ননদকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিল বনগাঁ আদালত। স্বামীর মানসিক ভারসাম্য হওয়ায় তার সাজা আপাতত স্থগিত রাখা হল।
বাদিপক্ষের আইনজীবী সৈকত দাস বলেন, “স্বামী মৃন্ময়চন্দ্র দত্ত, শ্বশুর মলয়চন্দ্র দত্ত, শাশুড়ি মধুমিতা দত্ত, ননদ মৌমিতা দত্ত সরকার। বনগাঁ মহকুমা আদালতে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক কল্লোল দাস। মোট ২০ জন সাক্ষ্য দিয়েছেন এই মামলায়৷”
২০০৫ সালে বারাসতের বিজয়নগরের বাসিন্দা নুপুর দত্ত বণিকের বিয়ে হয় বনগাঁর বস্ত্র ব্যবসায়ী মৃন্ময়চন্দ্র দত্তের বিয়ে হয়েছিল। অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই বিভিন্নভাবে শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার শুরু করে শ্বশুরবাড়ির লোকজন। এক সন্তানও হয় নুপূরের। ২০১৩ সালে নুপুরকে গলায় ফাঁস দিয়ে খুন করা হয়। দেহ খাটের তলায় লুকিয়ে রাখা হয়। দীর্ঘ ১২ বছর ধরে আইনি লড়াই চালানোর পর বিচার হল। আইনজীবী সৈকত দাস বলেন, “মূল অভিযুক্ত মানসিক ভারসাম্য দেখিয়ে এখনও সাজা পায়নি। তাকেও সাজা দেওয়ার আবেদন জানাব।”
মৃতার ভাই শিবম বণিক এই সাজায় আমরা খুশি, তবে আমরা ফাঁসির আবেদন জানিয়েছিলাম।
দেখুন আরও খবর-







