ওয়েব ডেস্ক : ওয়াকফ (Waqf Amendment Bill) মামলায় সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) ধাক্কা খেল কেন্দ্রীয় সরকার। সংশোধনী আইনের বেশ কয়েকটি ধারা স্থগিত রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে শীর্ষ আদালতের তরফে। এর মধ্যে রয়েছে জেলা শাসকদের ক্ষমতায় রাশ টানা। পাশাপাশি সম্পত্তি দানের ক্ষেত্রে যে নিয়মের কথা বলা হয়েছিল তার উপরেও স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়েছে। তবে গোটা ওয়াকফ আইনে স্থগিতাদেশ দেয়নি আদালত।
এতদিন কোনও জমি ওয়াকফের (Waqf) কিনা, তা বলার অধিকারী ছিলেন জেলাশাসক। সুপ্রিম কোর্টের নতুন নির্দেশ অনুযায়ী, জেলাশাসকদের হাতে আর সেই ক্ষমতা থাকবেন না। পাশাপাশি ওয়াকফ সম্পত্তি দানের ক্ষেত্রে পাঁচ বছরের ইসলাম পালনের যে নিয়ম ছিল, তার উপরেও স্থগিতাদেশে জারি করেছে বিআর গাভাইয়ের বেঞ্চ। এছাড়া আদালতের তরফে জানানো হয়েছে কেন্দ্রীয় ওয়াকফ বোর্ডে (Waqf Board) চার জনের বেশি অ-মুসলিম ব্যক্তি থাকতে পারবেন না। রাজ্য বোর্ডের ক্ষেত্রে সেই সংখ্যা ৩। ওয়াকফ সম্পত্তি যেগুলো এখনও পর্যন্ত রেজিস্ট্রেশন করা হয়নি, সেই সম্পত্তিগুলি রেজিস্ট্রেশন করতে হবে বলেও নির্দেশ দিয়েছে শীর্ষ আদালত (Supreme Court)।
আরও খবর : ঝাড়খণ্ডে বড় সাফল্য নিরাপত্তা বাহিনীর, খতম ৩ মাওবাদী
আদালতের তরফে জানানো হয়েছে , ওয়াকফের সিইও পদে যিনি বসবেন তাঁকে মুসলিম সম্প্রদায়ের হতে হবে। তবে সেই পদে কোনও অ-মুসলিমকে বসানো যাবে না তা নিয়ে কোনও নির্দেশ দেয়নি আদালত। রায় দিতে গিয়ে প্রধান বিচারপতির মন্তব্য, আইনসভায় পাশ হওয়া বিলের ওপরে আদালত হস্তক্ষেপ করতে পারেনা এমন সওয়াল আদালতে উঠে এলেও আদালত মনে করে রেয়ারেস্ট অফ রেয়ারেস্ট মামলা হলে সেক্ষেত্রে আদালত হস্তক্ষেপ করতে পারে।
প্রসঙ্গত, জেলাশাসক বা সম মর্য়াদার কোনও আধিকারিক জমি জরিপ করার পর সেটা ওয়াকফ (Waqf) সম্পত্তি কিনা, তা বলতেন। তা নিয়ে মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে ক্ষোভ ছিল। সোমবার এই প্রসঙ্গ উঠে এলে প্রধান বিচারপতি বিআর গাভাই ও বিচারপতি এজি মাসিহ বলেন, সাধারণ মানুষের কোনও ধরণের ব্যক্তিগত অধিকার নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন না জেলাশাসক। এর ফলে আইন ও প্রশাসনিক ক্ষমতা লঙ্ঘিত হতে পারে।
দেখুন অন্য খবর :