নদিয়া: কর্তব্যরত অবস্থায় পৌরসভার সাফাই কর্মীকে উঠল মারধরের অভিযোগ। কিন্তু কারা এই মারধর চালালও জানেন? এক সিপিআইএম নেতা (Cpim Leader)! যারা মেহনতি দলের কথা বলেন, সেই দলের নেতা এমন ঘটনা ঘটালেন। ইতিমধ্যেই সেই প্রাক্তন কাউন্সিলর তথা সিপিআইএম নেতার বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করলেন সুপারভাইযার।
সিপিআইএম নেতা তথা প্রাক্তন কাউন্সিলারের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে সরকারি কাজে কর্মরত শ্রমিকদের বেধড়ক মারধর এবং অশ্রাভ্য ভাষায় গালিগালাজ করার। পাশাপাশি, সরকারি কাজে বাঁধা দেওয়ারও অভিযোগ ওঠে সিপিআইএম নেতার বিরুদ্ধে। ইতিমধ্যেই এই ঘটনার জেরে শান্তিপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ফের বাংলাদেশি ভোটারের হদিশ! এবার পূর্বস্থলীতে
জানা যাচ্ছে, শান্তিপুর পৌরসভার ডেঙ্গু প্রতিরোধ দফতরের ৫ জন শ্রমিককে বেধড়ক মারধর এবং প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয় শান্তিপুর পৌরসভার ১১ নম্বর ওয়ার্ডের প্রাক্তন কাউন্সিলার তথা সিপিআইএম নেতা সৌমেন মাহাতো।
শুধু মারধর নয়, তার সঙ্গে সরকারি কাজ বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে ওই নেতার বিরুদ্ধে।
ঘটনা প্রসঙ্গে সুপারভাইজার বাসুদেব প্রামাণিক তিনি অভিযোগ তোলেন, গতকাল অর্থাৎ রবিবার বিকেল পাঁচটার সময় পৌরসভা নির্দেশমতো শান্তিপুর পৌরসভার ১১ নম্বর ওয়ার্ডের গোভাগার মোড় থেকে ওস্তাগার লেন যাওয়ার রাস্তায় ডেঙ্গু প্রতিরোধের কাজ করছিলেন সেই পৌরসভার সাফাই কর্মী। সে সময় হঠাৎই প্রাক্তন কাউন্সিলর তথা সিপিআইএম নেতা সৌমেন মাহাতো কাজ বন্ধ করার হুমকি দিতে শুরু করেন। বারবার বাধা সৃষ্টি করেন কাজ করতে। পরবর্তীতে তার পাঁচ জন কর্মীকে প্রথমে অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ এবং পরবর্তীতে বেধড়ক মারধর এবং প্রাণে মেরে ফেলার চেষ্টা করেন।
তারপর ব্লিচিং ভর্তি ঠেলাগাড়ি ঠেলা মেরে রাস্তায় ফেলে দেন তিনি। ঘটনায় পাঁচ জন শ্রমিক গুরুতরভাবে আহত হন। তৎক্ষনাত এলাকাবাসী ছুটে আসলে অভিযুক্ত সিপিআইএম নেতা সৌমেন মাহাতো সেখান থেকে পালিয়ে যান। এরপর এলাকাবাসী আহত পাঁচ শ্রমিককে শান্তিপুর হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানেই তাদের চিকিৎসা করানো হয়। ঘটনায় ডেঙ্গু প্রতিরোধের সুপারভাইজার বাসুদেব প্রামানিক অভিযুক্ত সিপিআইএম নেতা তথা প্রাক্তন কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে শান্তিপুর থানায় সরকারি কাজে বাধা দেওয়া এবং কর্মীদের মারধরের ঘটনায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
সঠিক তদন্ত করে অভিযুক্ত সাজা চেয়ে এই অভিযোগ দায়ের করা হয়। যদিও এই ঘটনা সামনে আসার পরই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন তৃণমূল নেতৃত্ব সহ শান্তিপুর পৌরসভার কর্তৃপক্ষ । তবে আইনের উপর ভরসা রেখে অভিযুক্তর সাজা হবে বলেই মনে করছেন তৃণমূল নেতৃত্বরা। যদিও মারধরের ঘটনা অস্বীকার করেছেন অভিযুক্ত প্রাক্তন কাউন্সিলর তথা সিপিআইএম নেতা সৌমেন মাহাতো।
দেখুন অন্য খবর