নয়াদিল্লি: ভবিষ্যতের সম্ভাব্য প্রয়োজনে, মৃতের শুক্রাণু (Dead man) সংরক্ষণের (sperm conservation) আবেদনে সম্মতি দিল দিল্লি হাইকোর্ট (Delhi High Court) । ২২ জানুয়ারি দিল্লিতে আত্মহত্যা করা যুবকের ক্ষেত্রে ‘পোস্টমর্টেম স্পার্ম রিট্রিভাল’ (‘Postmortem Sperm Retrieval’) পদ্ধতি অনুসরণ করা হোক। যাতে সংগৃহীত শুক্রাণু অ্যাসিস্টেড রিপ্রোডাকটিভ থেরাপির দ্বারা কাজে লাগানো যায়। মৃতের বাবা-মা ও বোনের এমন আবেদনে সম্মতি বিচারপতি শচীন দত্তের।
যত দ্রুত সম্ভব এই পদ্ধতি অনুসরণ করা হলে তা কার্যকর হয়। এই অবস্থায় মৃতের শরীরের ক্ষেত্রে ওই পদ্ধতি অনুসরণ করা হোক। নির্দেশ আদালতের।
আরও পড়ুন: আম্বেদকরকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য, বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থায়ী উপাচার্যের
দেশের আইন অনুযায়ী শুক্রাণু সম্পত্তি হিসেবে বিবেচিত হয়। তা মৃতের বাস্তব সম্পত্তি হিসেবে গণ্য হতে পারে। সওয়াল আবেদনকারীদের। আবেদনকারীদের খরচে হাসপাতালকে শুক্রাণু সংগ্রহ ও সংরক্ষণের নির্দেশ।
‘পোস্টমর্টেম স্পার্ম রিট্রিভাল’ (পোস্ট-মর্টেম শুক্রাণু পুনরুদ্ধার)কি-
একটি পোস্ট-মর্টেম শুক্রাণু পুনরুদ্ধার বা নিষ্কাশন, যাকে সংক্ষেপে পিএমএসআর বলা হয়, একটি অস্ত্রোপচারে প্রশিক্ষিত ইউরোলজিস্ট করা হয়ে থাকে। যেখানে সম্প্রতি মৃত ব্যক্তির অণ্ডকোষ থেকে সম্ভাব্য শুক্রাণু সমৃদ্ধ টিস্যু বের করা হয়। পোস্টমর্টেম ক্ষেত্রে শুক্রাণু পুনরুদ্ধার করা একটি জটিল প্রক্রিয়া হতে পারে। মৃত্যুর ৪৮-৭২ ঘন্টার মধ্যে ঘটতে হবে।
যদি মৃত ব্যক্তি হাসপাতালের সেটিং এর বাইরে মারা যায়, তবে শুক্রাণু পুনরুদ্ধারের জন্য সাধারণত ময়নাতদন্ত সম্পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে এবং শুক্রাণু পুনরুদ্ধার করার জন্য দেহটিকে মর্গ থেকে ইউরোলজিস্টের কাছে নিয়ে যেতে হবে।
দেখুন অন্য খবর: