ওয়েব ডেস্ক: ঘরে ফিরলেন সুনীতা উইলিয়ামস (Sunita Williams) ও বুচ উইলমোর (Butch Willmore)। ভারতীয় সময় ১৯ মার্চ, ভোর ৩টে ২৭ মিনিট নাগাদ ফ্লোরিডার সমুদ্রে নামে মহাকাশযানের ক্যাপসুল। একেবারে নিখুঁত অবতরণ। রুদ্ধশ্বাস এই সময়ের সাক্ষী থাকে বিশ্ববাসী। শুধু সুনীতা বা বুচ নয়, ইলন মাস্কের স্পেসএক্সের মহাকাশযান ড্রাগনে সওয়ার হয়ে পৃথিবীতে ফেরেন নাসার নভোচর নিক হেগ ও রুশ মহাকাশচারী আলেকজান্ডার গরবুনভ।
সমুদ্রে অবতরণের পরও ছিল টান টান উত্তেজনা ও দম বন্ধ করা অপেক্ষা। চিন্তায় ছিলেন বিশ্ববাসী। দীর্ঘ নয় মাস স্পেসস্টেশনে থেকে, পৃথিবীতে ফিরে কেমন আছেন সুনীতা? ক্রিউ নাইনের সবাই সুস্থ আছেন তো? যদিও আগেই ক্যামেরায় এক ঝলক ‘টাটা’ দেখিয়েছিলেন চারজন। উতলা হয়েছিল সকলের মন।
আরও পড়ুন: ট্রাম্পের দুমাসে বিপুল ক্ষতি, আমেরিকার শেয়ার বাজারে ধস
ভোর ৩টে ২৭ মিনিট নাগাদ দেখা যায় ক্যাপসুল জলে ভাসছে। সুনীতাদের ফিরিয়ে আনতে পৌঁছয় আমেরিকার নৌসেনাদের বোট। কয়েকটি ডলফিনও পৌঁছয়। ঠিক মনে হয় যেন পৃথিবী তরফ থেকে প্রথম শুভেচ্ছা ও সুস্থ থাকার বার্তা পৌঁছে দিচ্ছে সুনীতাদের
কাছে।
প্রসঙ্গত, ৮ দিনের জন্য আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন যান সুনীতারা। মহাকাশযানের যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে পৃথিবীতে ফেরা হয়নি। তারপর বারংবার পিছিয়েছে সুনীতাদের ঘর ওয়াপসি। অবশেষে ১৫ মার্চ ভোরে ড্রাগন মহাকাশযানকে নিয়ে রওনা দেয় ইলন মাস্কের রকেট ফ্যালকন ৯। মহাকাশযানে ছিলেন নাসার আনা ম্যাকলেন, নিকোল আইয়ার্স, জাপানের টাকুয়া ওনিশি ও রাশিয়ার কিরিল পেসকভ। স্পেস স্টেশনের দেখভালের দায়িত্ব এখন থেকে তাঁদের।
তবে পৃথিবীতে ফিরলেও, আপাতত ঘরে ফেরা হবে না সুনীতাদের। বর্তমানে তাঁদের ঠিকানা নাসার হিউস্টন জনসন স্পেস সেন্টার। চলবে তাঁদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা। ২৮৬ দিন মহাকাশে কাটিয়ে সম্ভবত হাটতেই ভুলে গিয়েছেন মহাকাশচারীরা। মাধ্যকর্ষণের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে এখনও বেশ কিছুটা সময় লাগবে। সুনীতা, বুচদের এ এক নয়া চ্যালেঞ্জ। জল থেকে মাটিতে উঠে ফের একবার আকাশে। ফ্লোরিডাথেকে হিউস্টোনের দূরত্ব নেহাত কম নয়। তাতে কী? ঘরে ফেরার গানের আমেজটাই তখন আলাদা।
দেখুন আরও খবর: