ওয়েব ডেস্ক: ফের মাথাচারা দিল হিজাব বিতর্ক (Kerala Hijab Controversy)। হিজাব বিতর্ক এড়াতে স্কুল ছাড়া সিদ্ধান্ত অষ্টম শ্রেণির ছাত্রীর। ছাত্রী সিদ্ধান্তের পর স্কুলে আবেদনের নিষ্পত্তি ঘোষণা কেরালা হাইকোর্টের (Kerala High Court)। কেরালা হাইকোর্ট একটি বেসরকারি বিদ্যালয়ের আবেদনের নিষ্পত্তি ঘোষণা । আবেদনে অষ্টম শ্রেণীর মুসলিম ছাত্রীকে হিজাব পরে ক্লাসে যোগদানের অনুমতি দেওয়ার সরকারি নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানায় স্কুল কর্তৃপক্ষ । সিবিএসই-অনুমোদিত বেসরকারি বিদ্যালয়ের ডেপুটি ডিরেক্টর অফ এডুকেশন (ডিডিই) ছাত্রীর পক্ষে দেওয়া সরকারি আদেশের উপর স্থগিতাদেশ চায় ।
বিদ্যালয়ের আইনজীবী বিমলা বেবি আদালতে জানিয়েছে স্কুলের দৃষ্টিভঙ্গি সর্বদা ধর্মনিরপেক্ষ। বিদ্যালয়ে হিজাব পড়ে আসার সরকারি সিদ্ধান্ত বিদ্যালয়ের ভেতরে বিতর্কে সৃষ্টি হয়েছে। ছাত্রীর পোশাক বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠিত পোশাকবিধি লঙ্ঘন করে। অন্যান্য অভিভাবকদেরও তাদের সন্তানদের ধর্মীয় পোশাকে স্কুলে পাঠাতে রাজি করানোর চেষ্টা করা হয়েছিল। আদালত তখন বিদ্যালয় এবং তার কর্মীদের পুলিশ সুরক্ষা প্রদান করেছিল।
ছাত্রীর আইনজীবী আমীন হাসান জানান, বিদ্যালয় এর বৈষম্য উদ্বেগের। তিনি বিদ্যালয়ে পড়াশোনা চালিয়ে যেতে চান না। কারণ বিষয়টিকে ওই ছাত্রী জটিল করে তুলতে চান না।
আরও পড়ুন: মহারাষ্ট্রের চিকিৎসকের সুইসাইড নোটের এক সাংসদেরও উল্লেখ
বিচারপতি ভিজি অরুন বলেন, আমি একটি কনভেন্টে পড়াশোনা করেছি। স্কুলে আমার দিনটি পিতা, পুত্র এবং পবিত্র আত্মার নামে শুরু হয়েছিল। তাই আমি জানি। আমাদের সংবিধানের যার উপর ভিত্তি করে নির্মিত, তা এখনও শক্তিশালী রয়েছে। তাই এই ধরণের আবেদনের গ্রাহণযোগ্যতা থাকতে পারে না। বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাকে তাড়িয়ে দিয়েছে বলে ছাত্রীর স্কুল থেকে সরে আসার সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত নয়। এটা মনে নাও হতে পারে যে তাকে স্কুল থেকে বের করে দিয়েছে কারণ ছাত্রীটি নিজের ইচ্ছায় স্কুল ছেড়ে যাচ্ছে।
আদালতের নির্দেশ, ছাত্রীর বাবা-মা তাকে অন্য স্কুলে ভর্তি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন এবং তাই আদালত বেসরকারি বিদ্যালয়ের এই আবেদন নিস্পত্তি করল। আইনজীবী মহল এর মতে ধর্মনিরপেক্ষ ভারতবর্ষের এই ধরনের ঘটনা খুবই লজ্জাজনক। শুধুমাত্র ধর্মীয় কারণে একজন ছাত্রী তার শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হবে এটা কখনোই গ্রহণযোগ্য নয়।
অন্য খবর দেখুন







