নয়াদিল্লি: নয়াদিল্লি (Delhi) স্টেশন (Station) চত্বরজুড়ে রাতারাতি তৎপরতা ভারতীয় রেলের (Indian Rail)। এবার যাত্রীদের ভিড় সামলাতে নয়াদিল্লি সহ দেশের ৬০ টির বেশি ব্যস্ত রেল স্টেশনে হোল্ডিং কালার কোডেড জোন ব্যবহার করা হবে। থাকবে এআই (AI) (কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তা) নজরদারি।
ট্রেন (Train) আসতে দেরি বা ভিড়ের গতিবিধি দেখার জন্য এআই প্রযুক্তির সাহায্য নেওয়া হবে। এছাড়াও প্রয়াগরাজের সঙ্গে যুক্ত এমন ৩৫টি স্টেশনের সঙ্গে প্রতিমুহূর্তে যোগাযোগ রাখবে সেন্ট্রাল ওয়ার রুম (Central War Room) ।
সেইসঙ্গে রেলকর্মীদের (Railway worker) দায়িত্ব বাড়ানো হচ্ছে। গোটা বিষয়টি যাতে সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয় তার জন্য রেল কর্মকর্তাদের দায়িত্ব নিতে নির্দেশ দিয়েছে রেলমন্ত্রক।
আরও পড়ুন: নিরাপত্তা বাড়ল দিল্লি স্টেশনে, ২৬ তারিখ পর্যন্ত কোনও প্ল্যাটফর্ম টিকিট নয়
স্টেশনে বসানো হচ্ছে ২০০টি সিসি ক্যামেরা। প্ল্যাটফর্মের ফুটওভার ব্রিজ, সিঁড়িতে বসে থাকা লোকজনের উপর এই ক্যামেরার মাধ্যমে নজরদারি থাকবে। পাশাপাশি ভিড় সামলাতে দিল্লি পুলিশ, নিউ দিল্লি রেল স্টেশনের ভিড় সামলানোর জন্য ছয়জন ইন্সপেক্টর পদমর্যাদার অফিসার মোতায়েন করেছে। এর জন্য বিশেষ পদমর্যাদার পুলিশ আধিকারিকরা থাকবেন, রেল পুলিশের সংখ্যাও বাড়ানো হচ্ছে।
উত্তর রেলওয়ের প্রধান জনসংযোগ আধিকারিক হিমাংশু শেখর উপাধ্যায় জানিয়েছেন যে, নিরাপত্তার কারণে সচেষ্ট ভারতীয় রেল। বিকেল ৪টা থেকে সাত ঘন্টার জন্য প্ল্যাটফর্ম টিকিট বিক্রি বন্ধ করে দিয়েছে। ভিড় এড়াতেই এই পদক্ষেপ করা হয়েছে। তবে, এই সিদ্ধান্ত প্রতিবন্ধী বা প্রবীণ নাগরিকদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হচ্ছে না। প্ল্যাটফর্ম নম্বর ১৬ থেকে ১৩ নম্বর প্ল্যাটফর্ম পর্যন্ত, আমরা প্রতিটি ট্রেনের কোচের উপর নজরদারি করতে এবং ভারী ভিড় পরিচালনা করার জন্য নিরাপত্তা কর্মী মোতায়েন করেছি। এর পাশাপাশি, জরুরি মোকাবিলা দলগুলিকে যেকোনও প্রয়োজনে স্ট্যান্ডবাই থাকবে। পদদলিত হওয়ার মতো পরিস্থিতি এড়াতে ব্যারিকেডও বসানো হয়েছে। টহল জোরদার করা হয়েছে। সিসিটিভি নজরদারিও বাড়ানো হয়েছে, ভিড় নিয়ন্ত্রণের জন্য কন্ট্রোল রুম সঠিক সময় ফুটেজ নিরীক্ষণ করবে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা দাবি করেছিলেন যে, প্রয়াগরাজ এক্সপ্রেস অন্য প্ল্যাটফর্মে আসার ঘোষণায় হুড়োহুড়িতেই পদপিষ্টের ঘটনা। কিন্তু সেই দাবি অস্বীকার করে উত্তর রেলওয়ের প্রধান জনসংযোগ আধিকারিক হিমাংশু শেখর উপাধ্যায় বলেন, ১৪ এবং ১৫ নম্বর প্ল্যাটফর্মের সংযোগকারী ফুটওভারব্রিজ থেকে কিছু লোক পিছলে গিয়ে অন্যদের উপর পড়ে যায়। তাতেই দুর্ঘটনা ঘটে। কোনও ট্রেন বাতিল হয়নি। প্ল্যাটফর্মও পরিবর্তন হয়নি। দিল্লি পুলিশও দুর্ঘটনার জন্য রেলের ঘোষণার বিভ্রান্তিকেই দায়ী করেছে।
দেখুন অন্য খবর: