নয়াদিল্লি: নিরাপত্তা (security) বাড়ানো হল দিল্লি স্টেশনের (Delhi railway station) , বন্ধ করে দেওয়া হল প্ল্যাটফর্ম টিকিট। ২৬ তারিখ পর্যন্ত কোনও প্ল্যাটফর্ম টিকিট (Platform Ticket) নয়।
মহাকুম্ভে (Mahakumbh) যাওয়ার পথে দিল্লিতে পদপিষ্টের ঘটনায় ১৮ জনের মর্মান্তিক মৃত্যুর জেরেই দিল্লির নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। আর প্ল্যাটফর্ম টিকিটের উপরেও এই বিধিনিষেধ আরোপ করা হল। তবে সোমবার সকালেও নয়াদিল্লি স্টেশনে যাত্রীদের ভিড় অব্যাহত।
আরপিএফের (RPF) কর্মকর্তারা জানাচ্ছেন, প্রয়াগরাজে (Prayaraj) যাওয়ার জন্য এই ভিড় আগামী কয়েকদিন ধরে চলতে পারে ৷ কারণ প্রয়াগরাজে মহাকুম্ভ মেলা ২৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলবে। আমরা পুরো দমে কাজ করছি, কিন্তু এত বিপুল সংখ্যক যাত্রীর ভিড় সামাল দেওয়া সহজ নয় ৷”
আরও পড়ল: ‘মনে হচ্ছিল ট্রেন দ্রুত গতিতে ছুটে আসছে, এর আগে এত বড় ভূমিকম্প হয়নি’ খুব ভয় পেয়ে গেছি
শনিবার রাতে নয়া দিল্লির রেল স্টেশনে এই দুর্ঘটনার সাক্ষী থাকে। দিল্লি পুলিশ সূত্রে রবিবার সকালের শেষ পাওয়া আপডেট অনুযায়ী, মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৮। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা। মৃতদের মধ্যে রয়েছেন নয় জন মহিলা, পাঁচ জন শিশু ও চার জন পুরুষ। এর মধ্যে রাতে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয়েছে ১৫ জনের। পরে বাকি তিনজনের মৃত্যু হয় হাসপাতালে।
রেলের তরফে বিবৃতি দেওয়া হয়, মাত্রাছাড়া ভিড়ের কারণেই এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। অন্যদিকে প্রত্যক্ষদর্শীদের বয়ান অনুযায়ী, রেল স্টেশনে কোনও চেকিং ছিল না। ভিড় নিয়ন্ত্রণেরও কোনও ব্যবস্থা ছিল না। ভিড়ের মাত্রা এতটাই বেশি ছিল যে, দমবন্ধকর পরিস্থিতি তৈরি হয়। তার মধ্যেই হঠাৎ রাত ১০ টা নাগাদ আচমকা ট্রেনের প্ল্যাটফর্ম বদলের ঘোষণা করার সঙ্গে যাত্রীদের মধ্যে হুড়োহুড়ি পড়ে যায়। সেই সময় ধাক্কাধাক্কিতে দুর্ঘটনা ঘটে। বহু মানুষ হাসপাতালে চিকিৎধীন।
উল্লেখ্য, কুম্ভমেলা প্রাঙ্গণে গত ২৯ জানুয়ারি পদপিষ্টের ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন ৩৩ জন। এছাড়াও ঘটেছে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা।
দেখুন অন্য খবর: