ওয়েব ডেস্ক: ইউরোপ এবার ইরানের নতুন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি। পরমাণু প্রযুক্তিতে নয়া যুগের শুরুয়াত হয়েছে ইরানে। একটি কৌশল তৈরি হয়েহে, যা তাদের মতে পরমাণু অস্ত্রের থেকেও ভয়ঙ্কর হতে পারে। ইরানের এই পদক্ষেপ শুধু ইউরোপ নয়, গোটা বিশ্বকে প্রশ্নের মুখে দাঁড় করিয়েছে। বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা, এই নতুন কৌশল ইরানের সামরিক শক্তিকে এমন এক উচ্চতায় পৌঁছে দিতে পারে, যা আন্তর্জাতিক নিরাপত্তার জন্য গুরুতর হুমকি হয়ে দাঁড়াবে। ইরান তাদের এই উদ্যোগকে আত্মরক্ষার পন্থা বলে দাবি করছে।
ইরানের পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে এর আগেও আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে উদ্বেগ ছিল। ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধিকরণে ইরান ইতিমধ্যেই ৬০ শতাংশের বেশি অগ্রগতি করেছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই স্তরটি পরমাণু অস্ত্র তৈরির দিকেই ইঙ্গিত করে। যদিও ইরান বারবার দাবি করেছে যে তাদের পরমাণু প্রকল্প সম্পূর্ণ শান্তিপূর্ণ উদ্দেশ্যে। তবে এই নতুন কৌশলের ঘোষণা পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলেছে।
আরও পড়ুন: শেখ হাসিনাকে প্রত্যর্পণের অনুরোধ পেয়েছি, এছাড়া কোনও বক্তব্য নেই: বিদেশমন্ত্রক
পশ্চিমি দেশগুলি, বিশেষ করে আমেরিকা এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন, ইরানের এই ঘোষণাকে হুমকি হিসেবে দেখছে। তারা মনে করছে, ইরানের এমন একটি কৌশল বিশ্বব্যাপী শক্তির ভারসাম্যকে বিঘ্নিত করতে পারে। ইরানের এই পদক্ষেপ দেখে ফাঁপরে পড়েছে ইজরায়েল। দেশটি ইতিমধ্যেই সতর্ক করেছে, ইরানের এমন কোনও প্রযুক্তি বাস্তবায়নের চেষ্টা হলে তারা প্রতিহত করবে। ইরানের এই ঘোষণা মধ্যপ্রাচ্যে একটি নতুন অস্ত্র প্রতিযোগিতার সূচনা করতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, সৌদি আরব ও ইজরায়েল ইতিমধ্যেই ইরানের সামরিক কার্যক্রমের প্রতি কড়া নজর রাখছে। এই পরিস্থিতিতে ইরানের সঙ্গে ইউরোপ ও আমেরিকার আসন্ন কূটনৈতিক আলোচনা বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে।
বিশ্বনেতারা এখন ইরানকে শান্তির পথে রাখার জন্য কূটনৈতিক চাপে মনোনিবেশ করছে। তবে এই নতুন কৌশলের প্রকৃতি এবং এর সম্ভাব্য প্রভাব সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা না পাওয়া পর্যন্ত আন্তর্জাতিক আঙিনায় উদ্বেগ ক্রমেই বাড়তে থাকবে। ইরান দাবি করছে, এটি আত্মরক্ষামূলক কৌশল, কিন্তু বাস্তবে তা কতটা হুমকি হয়ে উঠবে, সেটাই এখন বড় প্রশ্ন।
দেখুন আরও খবর: