কলকাতা: উৎসবের আমেজে গা ভাসাতে প্রস্তুত আপামর বাঙালি। আর কয়েক ঘণ্টার পর মহালয়া। দেবীপক্ষের সূচনার আগে বৃষ্টি মাথায় করেশারদ উৎসবের সূচনা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। শনিবার হাতিবাগান সর্বজনীন (Hatibagan Sarbojonin) পুজোর প্যান্ডেল উদ্বোধন করলেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী স্পষ্ট করে দেন, ‘মহালয়া থেকেই মাতৃমূর্তির উদ্বোধন করেন, তার আগে কেবল প্যান্ডেলের উদ্বোধন হয়।’শনিবার শ্রীভূমি-টালা প্রত্যয়-হাতিবাগান সর্বজনীনের মতো পুজোগুলির উদ্বোধন করেন তিনি।
গত কয়েকবছর ধরেই মুখ্যমন্ত্রী মহালয়ার (Mahalaya) আগে শহরের একাধিক পুজোর উদ্বোধন করে আসছেন। এবছরও তার ব্যতিক্রম হল না। এদিন বৃষ্টি মাথায় নিয়েই হাতিবাগান সর্বজনীনের পুজো প্যান্ডেলে পৌঁছান মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর সঙ্গে ছিলেন বিধায়ক অতীন ঘোষও। উদ্বোধনের আগেই তাঁকে বলতে শোনা যায়, ‘আমি কেবল মণ্ডলের উদ্বোধন করছি।’ মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ”আগামিকাল মহালয়ার তর্পণের মধ্যে দিয়ে সবরকম বর্ষণ, গর্জন, তর্জনের বিরুদ্ধে মা আলোকের বার্তা নিয়ে আসবেন।” একই সঙ্গে শান্তির বার্তা দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের।
এদিন হাতিবাগান সার্বজনিনের পুজো উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপরেই টালা প্রত্যয় এবং সুজিত বসুর পুজো শ্রীভুমি স্পোর্টিং ক্লাবের উদ্বোধন করেন তিনি। তবে দেবীপক্ষ এখনও শুরু হয়নি। ফলে এদিন কোনও প্রতিমার উন্মোচন করেননি মুখ্যমন্ত্রী। তিনি জানান, ”মহালয়ার আগে মাতৃমূর্তির উদ্বোধন করি না। শুধুমাত্র প্যান্ডেল উদ্বোধন করতে এসেছি।”পুজোর আগে বাঙালিদের চিন্তা বাড়িয়েছে বৃষ্টি। এদিন মণ্ডপ উদ্বোধনে এসেও সকলকে বৃষ্টিতে না ভেজার পরামর্শ দেন মুখ্যমন্ত্রী।
আরও পড়ুন:মহানগরের মহাপুজোয় ত্রিধারা
রবিবার নাকতলা উদয়ন সংঘ, ৯৫ পল্লি, যোধপুর পার্ক, বাবুবাগান এবং চেতলা অগ্রণীর উদ্বোধন হবে। ২২ সেপ্টেম্বর মমতা যাবেন আলিপুর সর্বজনীন, চেতলা কোলাহল গোষ্ঠী, বেহালা নতুন দল, বড়িশা, হরিদেবপুর ৪১ পল্লি, অজেয় সংহতি, বসুপুর তালবাগান, বসুপুর শীতলা মন্দির, গড়িয়াহাট হিন্দুস্থান ক্লাব ও কালীঘাট মিলন সংঘে। ২৩ সেপ্টেম্বরের তালিকা আরও দীর্ঘ। মুদিয়ালি, শিবমন্দির, সমাজসেবী, বালিগঞ্জ কালচারাল, ত্রিধারা, ৬৬ পল্লি, বডামতলা, আদি বালিগঞ্জ, একডালিয়া এবং সিংহী পার্কে উদ্বোধন করবেন মুখ্যমন্ত্রী।
দেখুন ভিডিও