ওয়েব ডেস্ক: মার্কিন রাজনীতিতে বড় জয় পেলেন ডেমোক্র্যাট প্রার্থী জোহরান মামদানি (Zohran Mamdani)। মাত্র ৩৪ বছর বয়সে নিউইয়র্ক শহরের মেয়র নির্বাচিত হয়ে ইতিহাস গড়লেন তিনি। তিনি ভারতীয় চিত্রপরিচালক মীরা নায়ারের পুত্র। নতুন বছরের প্রথম দিনে অর্থাৎ ১ জানুয়ারি তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্ব গ্রহণ করবেন। নিউইয়র্ক সিটি বোর্ড অফ ইলেকশনের তথ্য অনুযায়ী, এই নির্বাচনে রেকর্ড ভোট পড়েছে, গত ৫০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি, প্রায় ২০ লক্ষেরও বেশি নাগরিক তাঁদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন।
জোহরান মামদানি তাঁর জয়ের পর সামাজিক মাধ্যম এক্সে (আগের টুইটার) একটি ভিডিও পোস্ট করেন। সেখানে দেখা যায়, সিটি হল স্টেশনে একটি মেট্রো ট্রেনের দরজা খুলছে, আর তার দেওয়ালে ভেসে উঠছে লেখা- “Zohran For New York City”। এই ভিডিও মুহূর্তের মধ্যেই ভাইরাল হয়, যা তাঁর সমর্থকদের মধ্যে ব্যাপক উচ্ছ্বাস সৃষ্টি করে।
আরও পড়ুন: ফের কাঁপল আফগানিস্তান
আগামী ১ জানুয়ারি নিউ ইয়র্কের মেয়র হিসাবে শপথ নেবেন মামদানি। ৩৪ বছর বয়সি এই ভারতীয় বংশোদ্ভূতই হবেন গত ১০০ বছরেরও বেশি সময়ের ইতিহাসে নিউ ইয়র্কের কনিষ্ঠতম মেয়র। তাঁর এই উত্থান মার্কিন ডেমোক্র্যাটদের কাছে এক বড় বার্তা দেবে। জোহরান মামদানির সমর্থকরা মনে করছেন, এই জয় প্রমাণ করেছে নিউইয়র্কের জনগণ পরিবর্তন ও প্রগতির পক্ষে। শহরের বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠী ও তরুণ প্রজন্মের ভোটে তাঁর এই সাফল্য এসেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের চোখরাঙানিই সার। ডেমোক্র্যাটিক পার্টির এই নেতার বিরুদ্ধে ধারাবাহিক ভাবে প্রচার করে যাচ্ছিলেন ট্রাম্প। মঙ্গলবার ভোটপর্ব শুরু হওয়ার কয়েকঘণ্টা আগেই ট্রাম্প কার্যত হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছিলেন, ‘ডেমোক্রেট প্রার্থী জোহরান মামদানি (Zohran Mamdani) বিজয়ী হলে তিনি নিউ ইয়র্ক শহরকে ফেডারেল সরকারের তহবিল থেকে বাড়তি অর্থ সহায়তা করা বন্ধ করে দেবেন।’
ট্রাম্প বলেছিলেন, “যদি নিউ ইয়র্ক একটি কমিউনিস্ট মেয়র বেছে নেয়, তা হলে আমি ওই শহরের জন্য ফেডারেল অর্থবরাদ্দ বন্ধ করে দেব, যতক্ষণ না আইন আমাকে তা দিতে বাধ্য করছে।” মার্কিন প্রেসিডেন্টের ওই মন্তব্যের প্রেক্ষিতে মামদানিও বলেছিলেন, ,“ট্রাম্প বুঝে গিয়েছেন, নিউ ইয়র্কবাসী এ বার পরিবর্তন চাইছেন। এই হুমকি শুধু আমার বিরুদ্ধে নয়, বরং নিউ ইয়র্কের মানুষের অধিকার ছিনিয়ে নেওয়ার এক প্রচেষ্টা।”
দেখুন খবর:







